পোষ্য কুকুরকেও নিরামিষ ভোজনে অভ্যস্ত করছেন? ছবি: সংগৃহীত।
বিড়ালের প্রিয় মাছ। আর কুকুরের প্রিয় ‘মাস’ অর্থাৎ মাংস! তবে ব্যতিক্রম কি নেই?
মাছ-মাংস বর্জিত, টক দই, ফল সহযোগে একেবারে সাত্ত্বিক খাবার খেতে পছন্দ করে রাঙাপিসির পোষ্য ‘স্কুবি’। কারণ, বহু বছর ধরেই রাঙাপিসির বাড়িতে আমিষের প্রবেশ নিষেধ। নিজে তো কোনও রকম আমিষ খাবার খানই না, এমনকি স্কুবিকেও খেতে দেন না। ভাত, রুটি, ডাল, তরকারি, ফল কিংবা টক দই খাওয়া খারাপ নয়। তবে মাছ, মাংস ছাড়া উদ্ভিজ্জ খাদ্যাভ্যাস তো সারমেয়দের সহজাত নয়। জোর করে তেমন খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করালে কি তাদের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে?
পুণের এক বেসরকারি কেন্দ্রের পশু চিকিৎসক ঈশান মাডেলওয়ার বলেন, “কুকুর সর্বভুক। অর্থাৎ তাদের শরীরের পুষ্টিগত চাহিদা তেমনই। মাঝেমধ্যে উদ্ভিজ্জ খাবার খেতেও তাদের খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু পুরোপুরি নিরামিষ খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করালে হিতে বিপরীত হতে পারে।”
সারমেয়দের সুষম খাবার কেমন হওয়া উচিত?
চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষের মতোই সারমেয়দের সার্বিক সুস্থতার জন্য অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজে সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে সাজানো ‘ব্যালান্সড ডায়েট’ তৈরি করা প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে, তার মধ্যে প্রাণিজ প্রোটিনের ভাগ যেন বেশি থাকে।
প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে এমন কী থাকে?
১) ‘টউরিন’ এবং ‘এল-কার্নিটিন’— সারমেয়দের শরীরে এই দু’ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এইগুলির উৎস প্রাণিজ খাবার।
২) সারমেয়দের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন হল বি১২। এই ভিটামিনের উৎসও প্রাণিজ খাবার।
৩) সারমেয়দের ত্বক, লোমের যত্ন নিতে এবং অস্থিসন্ধির জোর বৃদ্ধি করতে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রয়োজন। প্রাণিজ খাবারের মধ্যে যে ফ্যাট থাকে, তা থেকেই এই দু’টি উপাদান পাওয়া যায়।
মাছ, মাংস বাদ দিয়ে একেবারে উদ্ভিজ্জ খাবার খাওয়ালে সারমেয়দের কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) রোজ নিয়ম করে মাছ, মাংস খেতে না দিলে কুকুরদের শরীরে ভিটামিন বি১২, জ়িঙ্ক, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে পোষ্যদের কার্ডিয়োভাসকুলার সমস্যা হতে পারে। তাদের পেশিতে ব্যথা হতে পারে কিংবা অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
২) চারপেয়েরা কার্বোহাইড্রেট পরিপাক করতে পারে, যদি সেই উপাদানের উৎস ফ্যাট এবং প্রোটিন জাতীয় কোনও খাবার হয়ে থাকে। কিন্তু উদ্ভিজ্জ নিরামিষ খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। অতিরিক্ত ফাইবার কিন্তু সারমেয়রা হজম করতে পারে না।
৩) দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে নানা ধরনের খনিজের ঘাটতি তৈরি হলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়ে। ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। লোমের মান খারাপ হয়ে যায়। তা সমানে ঝরে পড়তে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy