আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হাত গুটিয়ে নিলেও ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিতে কার্পণ্য করল না ইউরোপ। শুক্রবার রাতে ‘ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপ’-এর সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছে, রুশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে ২১০০ কোটি ইউরোর (প্রায় ২৪০০ কোটি ডলার বা দু’লক্ষ ছ’হাজার কোটি টাকা) অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পরে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকারকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমেরিকার নেতৃত্বে প্রায় ৫০টি দেশকে নিয়ে ওই গোষ্ঠী গঠিত হয়েছিল। এর পরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরে আসায় ‘ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপ’-এর নেতৃত্বে এসেছে ব্রিটেন। শুক্রবারের বৈঠক শেষে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বলেন, ‘‘ইউক্রেনকে ২১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের সদস্য দেশগুলি। এটি ইউক্রেনের জন্য তহবিল সংগ্রহে নতুন রেকর্ড। এর মধ্যে ব্রিটেন এ বছর সাড়ে চার বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা) সামরিক সহায়তা দেবে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।’’
আরও পড়ুন:
পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশই গত তিন বছর ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করে এসেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে জ়েলেনস্কির বাগ্যুদ্ধ এবং বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরেই সামরিক সাহায্যদান থেকে হাত গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল হোয়াইট হাউস। ঘটনাচক্রে, তার পরেই ইউক্রেনকে সহায়তায় আরও গতি আনতে সক্রিয় হয় ইউরোপ। মার্চের গোড়ায় বৈঠকের পরে ইইউ-এর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইইউ-এর সদস্যেরা মিলে ১৫ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা) ঋণ নেবে। এর বড় অংশ ব্যয় হবে ইউক্রেনের সামরিক সাহায্যে। এ বার ঘোষিত হল সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি। শুক্রবারের বৈঠকে হাজির নেটোর মহাসচিব মার্ক রট্টেও ইউক্রেনকে নিরবচ্ছিন্ন সামরিক সাহায্যের অঙ্গীকার করেছেন।