অগ্নিগর্ভ: হাইস্কুল পড়ুয়াদের আটকের প্রতিবাদ প্যারিসের রাস্তায়। ছবি: এপি ।
বিক্ষোভের জেরে সুর নরম করেছে ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সরকার গত কালই জানিয়েছে, জ্বালানির দাম বাড়ছে না। ‘ইকো-ফুয়েল’ কর আপাতত ঠান্ডা ঘরে। পরিস্থিতি তবু অগ্নিগর্ভই। চোখ রাঙাচ্ছে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইঙ্গিত, এই শনিবার ফের বড়সড় হামলার আশঙ্কা দেশ জুড়ে। সতর্ক প্রশাসন তাই কাল-পরশু আইফেল টাওয়ার থেকে শুরু করে ল্যুভর মিউজিয়াম, ওপেরা হাউস— দেশের প্রায় সব প্রধান পর্যটনস্থলই বন্ধ রাখছে। ৯০ হাজার পুলিশ নামছে দেশ জুড়ে। শুধু প্যারিসের রাস্তাতেই থাকবে অতিরিক্ত ৮ হাজার পুলিশ।
ঘরে-বাইরে চাপের মুখে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ঘোষণা করেছিলেন, আগামী বাজেটে দাম বাড়ছে না জ্বালানির। জানুয়ারি থেকে যা চালু করার ভাবনা ছিল পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রপু়্ঞ্জের ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার পাওয়া মাকরঁ প্রশাসনের। তবু ফুঁসছে ফ্রান্স। গোড়ার প্রতিবাদের কারণ লাগামছাড়া জ্বালানির দাম হলেও, এখন আরও একাধিক বিষয় জুড়ে গিয়েছে। ন্যূনতম পেনশন চালুর দাবি তুলছেন জনতা। সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স কমাতে চাইছেন তাঁরা। স্লোগান উঠছে, গোটা কর ব্যবস্থাই আমূল বদলে ফেলা হোক। গত শনিবার বিক্ষোভকারীরা মোট ৪০টি দাবিদাওয়া পেশ করেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার চেয়ে গত কালও প্যারিসের রাস্তায় ধর্নায় বসতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনকে। কোথাও প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে— ‘মাকরঁ দূর হটো।’ আপাতত এটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।
গত সপ্তাহে প্যারিসের শঁজ়ে লিজ়ে-তে প্রচুর বিক্ষোভকারী জমা হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ধ্বংসলীলা চালাতেই জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। শনি ও রবিবার তাই বেশ কয়েকটি দোকান-রেস্তরাঁ বন্ধ রাখতে বলেছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy