— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যে কোনও রাজনৈতিক মামলায় জামিনের আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে শুনানি হবে! এমন ঘোষণার পর মঙ্গলবার ঢাকার আদালতে জামিনের বন্ড কিনতে ভিড় করেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার সকালেই ঢাকার জেলা বিচারক, মহানগর দায়রা বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জানিয়েছে, রাজনৈতিক মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে সঙ্গে সঙ্গে শুনানি হবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই ঢাকার প্রতিটি আদালতে ভিড় জমিয়েছেন আইনজীবীরা। প্রতিটি আদালতেই একই দৃশ্য! ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক বন্দির জামিনের আবেদন করতে শুরু করে দিয়েছেন আইনজীবীরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন আদালতে বন্ডের কাগজ কেনার জন্য পড়েছে লম্বা লাইন! সকালে জেলা জজ আদালতের সভাকক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে জামিনের আবেদনের শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো রাজনৈতিক মামলার শুনানি চলছে ঢাকার মহানগর দায়রা আদালত, জেলা আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
জামিনের বন্ড কিনতে লাইনে অপেক্ষারত রুহুল আমিন এমনই এক জন আইনজীবী। রুহুল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’কে জানিয়েছেন, অগ্রিম জামিনের বন্ড কিনতে লাইন দিয়েছেন তিনি। রুহুল বলেছেন, ‘‘আমার মক্কেল রাজনৈতিক ঘুষের মামলায় জেলে আছেন। বিচারকের আদেশ অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার জামিনের দিন ধার্য করা হয়েছে। তাই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই চলে এসেছি অগ্রিম জামিনের বন্ড কিনতে।’’
তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও ঢাকার নিম্ন আদালত চত্বরে পুলিশ-প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কোনও সদস্যকে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফার পরে আপাতত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ় জ়ামান সোমবারেই জানিয়েছেন, দ্রুত একটি অন্তর্বর্তী তদারকি সরকার গঠন করা হবে। ওই দিন রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁরা জানান, রাষ্ট্রপতি তাঁদের বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করার লক্ষ্যে এগোনো হচ্ছে। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বহু রাজনৈতিক বন্দিকেও। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ মতো মঙ্গলবার ছাড়া পেয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy