করোনা মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে হাসপাতাল।—ছবি রয়টার্স
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ব্রিটেনে। এই অবস্থায় সেখানে আটকে পড়া ৩৮০ জন ভারতীয় পড়ুয়া দেশে ফিরতে চেয়ে আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। তাঁরা চান, দ্রুত বিমানের ব্যবস্থা করা হোক। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ার পাচ্ছেন না। আলাদা থাকছেন। লম্বা লাইন দিয়েও সুপারমার্কেট থেকে কিছু পাচ্ছেন না। এঁদের মধ্যে আছে কেরলের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল। ২৩-২৪ মার্চ তাঁদের পরীক্ষা ছিল, যা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরাখণ্ডের পড়ুয়ারাও সেখানে আটকে। তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করেছে ব্রিটেন সরকার। সেটা স্বস্তি দিলেও এখন আর সে দেশে আটকে থাকতে চাইছেন না পড়ুয়ারা।
করোনা-পজিটিভ হওয়ার পরে আলাদা থাকছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি চিঠি লিখেছেন। সেটি অন্তত ৩ কোটি মানুষের বাড়িতে ডাক মারফত পৌঁছবে। তাতে বরিস লিখেছেন, ‘‘আপনাদের সঙ্গে আছি। আমরা জানি, পরিস্থিতি ভাল হওয়ার আগে আরও খারাপ হবে। তবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। যত নিয়ম মানব, তত কম প্রাণহানি হবে, তত দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব।’’ লন্ডনের করোনা-গবেষক নিল ফার্গুসন (যিনি নিজেও আক্রান্ত) বলেছেন, তিন মাস সময় ব্রিটেনকে পুরোপুরি ঘরে রাখতে পারলে নিশ্চিন্ত হওয়া সম্ভব।
খাবারের জোগান শেষ। সুপারমার্কেটে লুটপাট চালাচ্ছে মানুষ। লাঠি আর বন্দুক হাতে তাদের ঠেকাতে নেমেছে পুলিশ। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ানো ইটালির সিসিলিতে এখন ছবিটা এই রকমই। এক দল স্থানীয় মানুষ সিসিলির পালেরমো মার্কেটে খাবার নিয়ে অর্থ না দিয়েই বেরিয়ে যান। এক জন চিৎকার করে বলে যান, ‘‘আমাদের হাতে কিছু নেই। খেতে তো হবে।’’ ইটালিতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ হাজারের উপরে।
গত কালই ইটালি আর চিনকে টপকে আক্রান্তের সংখ্যায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে আমেরিকা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ২০৩ জন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার। নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, কানেক্টিকাট থেকে আগামী দু’সপ্তাহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সফরে নিষেধ জারি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস সংক্রমণে গুরুত্ব না দেওয়ায় তাঁকে বিঁধেছেন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম থেকে উনি বিষয়টাকে গুরুত্বহীন করেছিলেন। সেটাই ভয়ঙ্কর হয়েছে।’’
পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫২৬। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে এখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। রবিবার সকালে চিন থেকে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে ত্রাণ পৌঁছেছে পাক বায়ুসেনার বিমানে। করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করবেন তাঁরা। সিঙ্গাপুরে তিন ভারতীয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy