দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩ লক্ষ ঘরবাড়ি। ছবি: পিটিআই।
হলিউড তারকা থেকে রাজনীতির দুনিয়ার নক্ষত্রেরা— অনেকেরই পছন্দের আবাস রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে দাবানলের আগুন ছড়াচ্ছে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের এই এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে প্রথমে দাবানল লেগেছিল। এর পরেই তা হুহু করে নেমে আসে বসত এলাকায়।
এই এলাকায় দাবানল নতুন কিছু নয়। তবে এ বারের মতো বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড সাম্প্রতিক কালে চোখে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের জেরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পালিসেডস, আল্টাডেনা, পাসাডেনা এলাকা। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩ লক্ষ ঘরবাড়ি। প্রায় ১ লক্ষ বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী পালিসেডস এলাকায় প্রথম দাবানলের আগুন ঢুকে পড়ে। বুধবার বিকেলের পরে তিনটি বড়সড় আগুন এগিয়ে আসতে থাকে শহরের দিকে। শুষ্ক, ঝোড়ো হাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। লস অ্যাঞ্জেলেসের কোথাও কোথাও আগুনে-হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি। বিলাসবহুল প্রাসাদ আর বাংলোয় সাজানো লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বহুলাংশ এখন পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া ‘পম্পেই’। ফুরিয়েছে জল। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে বাইডেন প্রশাসন উদ্ধার বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে।
জেমস উডস, প্যারিস হিলটন, বিলি ক্রিস্টালের মতো অনেক হলিউড তারকার বাড়িতে আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে প্যারিস লিখেছেন, ‘পরিবারের সঙ্গে বসে টিভির পর্দায় নিজেদের বাড়ি পুড়তে দেখার আঘাত যেন কাউকে সইতে না হয়। এই বাড়িতে আমরা মূল্যবান স্মৃতির ভাণ্ডার গড়ে তুলেছিলাম।’ পুড়ে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বাংলোও। সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে হান্টারের পুড়ে যাওয়া সেই বাংলোকে। তার সামনে থাকা একটি গাড়িও পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার এই দাবানলের জন্য গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে দুষছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, বৃষ্টি আর বরফ গলা জল ধরে রেখে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বইয়ে দেওয়া যেত। গভর্নরকে সেই সংক্রান্ত প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কিছু বিরল প্রজাতির মাছের ক্ষতি হবে ভেবে রাজি হননি। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ফালতু মাছের’ জন্য মানুষের কথা ভাবেননি নিউসম। ‘‘সব তাঁর দোষ। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন’’, দাবি ট্রাম্পের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy