Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Bermuda Island

Bermuda water crisis: পানীয় জল নেই, বুদ্ধিবলে প্রতিনিয়ত লড়ে জীবন কাটছে বারমুডাবাসীর

বছরের পর বছর ধরে কী ভাবে জল সঞ্চয় করে জীবন নির্বাহ করে চলেছেন এই দ্বীপের মানুষ, তা সত্যিই একটি বিস্ময়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২১ ১১:৫৪
Share: Save:
০১ ১০
কোনও হ্রদ নেই, নদী নেই। না রয়েছে কোনও ঝরনা। এককথায় পানীয় জলের বিপুল অভাব। তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দ্বীপ এটি। হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন এই দ্বীপে। বছরের পর বছর ধরে কী ভাবে জল সঞ্চয় করে জীবন নির্বাহ করে চলেছেন এই দ্বীপের মানুষ, তা সত্যিই একটি বিস্ময়।

কোনও হ্রদ নেই, নদী নেই। না রয়েছে কোনও ঝরনা। এককথায় পানীয় জলের বিপুল অভাব। তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দ্বীপ এটি। হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন এই দ্বীপে। বছরের পর বছর ধরে কী ভাবে জল সঞ্চয় করে জীবন নির্বাহ করে চলেছেন এই দ্বীপের মানুষ, তা সত্যিই একটি বিস্ময়।

০২ ১০
এই দ্বীপের নাম বারমুডা। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে জেগে থাকা একটি দ্বীপ। বিস্তৃতি মাত্র ৫৩ বর্গ কিলোমিটার। ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী জনসংখ্যা ৬৪ হাজার।

এই দ্বীপের নাম বারমুডা। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে জেগে থাকা একটি দ্বীপ। বিস্তৃতি মাত্র ৫৩ বর্গ কিলোমিটার। ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী জনসংখ্যা ৬৪ হাজার।

০৩ ১০
বারমুডায় গিয়ে থাকলে যে বিষয়টি প্রথমেই চোখে পড়বে তা হল, এর ঘর-বাড়ির স্থাপত্য। নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রতিটি বাড়িই দেখতে একইরকম। সাদা রঙের চুনাপাথরের ছাদ। চতুর্দিকে ঢাল থাকা সেই ছাদে খাঁজকাটা নক্সা করা। যাতে সহজেই জল গড়িয়ে পড়ে যেতে পারে।

বারমুডায় গিয়ে থাকলে যে বিষয়টি প্রথমেই চোখে পড়বে তা হল, এর ঘর-বাড়ির স্থাপত্য। নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রতিটি বাড়িই দেখতে একইরকম। সাদা রঙের চুনাপাথরের ছাদ। চতুর্দিকে ঢাল থাকা সেই ছাদে খাঁজকাটা নক্সা করা। যাতে সহজেই জল গড়িয়ে পড়ে যেতে পারে।

০৪ ১০
পানীয় জলের সমস্যা দূর করার জন্য স্থানীয়েরা এ ভাবেই বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে রাখেন। সারা বছর এই সঞ্চিত বৃষ্টির জল পরিশ্রুত করেই পানীয় জলের সঙ্কট দূর করেন তাঁরা। পাশাপাশি জলের অপচয় না করারও কথা দিনভর মেনে চলেন।

পানীয় জলের সমস্যা দূর করার জন্য স্থানীয়েরা এ ভাবেই বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে রাখেন। সারা বছর এই সঞ্চিত বৃষ্টির জল পরিশ্রুত করেই পানীয় জলের সঙ্কট দূর করেন তাঁরা। পাশাপাশি জলের অপচয় না করারও কথা দিনভর মেনে চলেন।

০৫ ১০
পশ্চিমি দুনিয়ায় অন্যতম জল-সচেতন হিসাবেই চিহ্নিত বারমুডার মানুষ। সেই ১৭ শতক থেকেই ঘর-বাড়িতেও জলের অপচয় রোধের চিহ্ন তাই স্পষ্ট। প্রতিটি বাড়ির নক্সা কেমন হবে তা সে দ্বীপের আইনেও উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, বাড়ির ছাদ এমন ভাবেই নির্মাণ করতে হবে যাতে তার মাধ্যমে বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলাধারে সঞ্চিত হয়।

পশ্চিমি দুনিয়ায় অন্যতম জল-সচেতন হিসাবেই চিহ্নিত বারমুডার মানুষ। সেই ১৭ শতক থেকেই ঘর-বাড়িতেও জলের অপচয় রোধের চিহ্ন তাই স্পষ্ট। প্রতিটি বাড়ির নক্সা কেমন হবে তা সে দ্বীপের আইনেও উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, বাড়ির ছাদ এমন ভাবেই নির্মাণ করতে হবে যাতে তার মাধ্যমে বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলাধারে সঞ্চিত হয়।

০৬ ১০
বাড়ির এই নক্সা বছরের পর বছর ধরেই অনুসরণ করে আসছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ফলে ২০০ বছরের পুরনো বাড়ির পাশেই গড়ে ওঠা নতুন বাড়ির ছাদও একই রকম দেখতে। ওই দ্বীপের ১৬৮০ সালের বাড়িটিও দেখতে একই রকম। প্রতিটি বাড়ি এই নক্সায় গড়ে তোলাও বাধ্যতামূলক।

বাড়ির এই নক্সা বছরের পর বছর ধরেই অনুসরণ করে আসছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ফলে ২০০ বছরের পুরনো বাড়ির পাশেই গড়ে ওঠা নতুন বাড়ির ছাদও একই রকম দেখতে। ওই দ্বীপের ১৬৮০ সালের বাড়িটিও দেখতে একই রকম। প্রতিটি বাড়ি এই নক্সায় গড়ে তোলাও বাধ্যতামূলক।

০৭ ১০
চুনাপাথর-নির্মিত ছাদ বেয়ে জল নীচের দিকে গড়িয়ে আসে। তারপর পাইপ দিয়ে ভূগর্ভের জলাধারে প্রবেশ করে বৃষ্টির জল। জল সঞ্চয়ের জন্য প্রতিটি ঘরের নীচেই ১০০ গ্যালনের জলাধার থাকা বাধ্যতামূলক।

চুনাপাথর-নির্মিত ছাদ বেয়ে জল নীচের দিকে গড়িয়ে আসে। তারপর পাইপ দিয়ে ভূগর্ভের জলাধারে প্রবেশ করে বৃষ্টির জল। জল সঞ্চয়ের জন্য প্রতিটি ঘরের নীচেই ১০০ গ্যালনের জলাধার থাকা বাধ্যতামূলক।

০৮ ১০
দৈনন্দিন জীবনেও বারমুডার প্রতিটি মানুষ জলের অপচয় রোধে সদা সতর্ক। যতটা সম্ভব জলের খরচও কম করে থাকেন তাঁরা। শিশুদেরও ছোট থেকেই এ বিষয়ে সচেতন করা হয়।

দৈনন্দিন জীবনেও বারমুডার প্রতিটি মানুষ জলের অপচয় রোধে সদা সতর্ক। যতটা সম্ভব জলের খরচও কম করে থাকেন তাঁরা। শিশুদেরও ছোট থেকেই এ বিষয়ে সচেতন করা হয়।

০৯ ১০
এত চেষ্টার পরও অনেক সময়ই জল সঙ্কটে ভুগতে হয় তাঁদের। বিশেষ করে ২০ শতকে বারমুডার পর্যটন শিল্প ফুলেফেঁপে ওঠায় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। তা কাটাতে ওই সময়ই দ্বীপের প্রথম ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট (desalination plants) গড়ে ওঠে। সমুদ্রের নোনা জলকে পরিশ্রুত করে তা পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়।

এত চেষ্টার পরও অনেক সময়ই জল সঙ্কটে ভুগতে হয় তাঁদের। বিশেষ করে ২০ শতকে বারমুডার পর্যটন শিল্প ফুলেফেঁপে ওঠায় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। তা কাটাতে ওই সময়ই দ্বীপের প্রথম ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট (desalination plants) গড়ে ওঠে। সমুদ্রের নোনা জলকে পরিশ্রুত করে তা পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়।

১০ ১০
সরকারি তরফে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হলেও বারমুডার বেশিরভাগ মানুষ আজও বৃষ্টির জল ধরে রেখে তা ব্যবহারের পক্ষপাতী। জীবন বাঁচাতে জলের জন্য যে লড়াই তাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের কাছে সরকারি জল নেওয়ার অর্থ সেই লড়াইয়ে হার মানা। জীবনযুদ্ধে হার মানতে নারাজ এই দ্বীপের মানুষ।

সরকারি তরফে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হলেও বারমুডার বেশিরভাগ মানুষ আজও বৃষ্টির জল ধরে রেখে তা ব্যবহারের পক্ষপাতী। জীবন বাঁচাতে জলের জন্য যে লড়াই তাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের কাছে সরকারি জল নেওয়ার অর্থ সেই লড়াইয়ে হার মানা। জীবনযুদ্ধে হার মানতে নারাজ এই দ্বীপের মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy