Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Real Estate

উড়ালপুলে বাড়ি ঘেরাও, ‘পথের কাঁটা’ সরাতে রাস্তাই যখন রাস্তা

চিন এক ধরনের বাড়ির নাম দিয়েছে ‘কাঁটা বাড়ি’। চিনের দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী কাঁটা বা়ড়ি সেগুলিই যা ‘উন্নয়নের পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চিন অবশ্য বা়ড়ির নাম দিয়েছে ‘নেল হাউস’। নেল অর্থাৎ পেরেক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১ ১৮:০৬
Share: Save:
০১ ১৬
নেল হাউস বা কাঁটা বাড়ি। চিনের দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী কাঁটা বা়ড়ি সেগুলিই যা ‘উন্নয়নের পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নেল অর্থাৎ কাঁটা পেরেক। কেন এই নামকরণ তার একটা ব্যাখ্যাও আছে। চিনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী অনেকটা কাঠের তক্তায় বেঁধা বেয়ারা পেরেকের মতো এই সব বা়ড়ির মালিকের হাবভাব। পেরেকের মতো তাকে পুরোপুরি তুলে ফেলা যায় না। আবার হাতুড়ির এক ঘায়ে বসিয়ে দেওয়াও যায় না। কাঁটার মতোই অস্বস্তিকর তার অস্তিত্ব। তাই বাড়ির এই অদ্ভুত নামকরণ।

নেল হাউস বা কাঁটা বাড়ি। চিনের দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী কাঁটা বা়ড়ি সেগুলিই যা ‘উন্নয়নের পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নেল অর্থাৎ কাঁটা পেরেক। কেন এই নামকরণ তার একটা ব্যাখ্যাও আছে। চিনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী অনেকটা কাঠের তক্তায় বেঁধা বেয়ারা পেরেকের মতো এই সব বা়ড়ির মালিকের হাবভাব। পেরেকের মতো তাকে পুরোপুরি তুলে ফেলা যায় না। আবার হাতুড়ির এক ঘায়ে বসিয়ে দেওয়াও যায় না। কাঁটার মতোই অস্বস্তিকর তার অস্তিত্ব। তাই বাড়ির এই অদ্ভুত নামকরণ।

০২ ১৬
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বহু শহরেই এমন বাড়ির বহু উদাহরণ আছে। যদিও বাড়ির এমন নামকরণের কৃতিত্ব চিনেরই। ‘কাঁটা বাড়ি’ শব্দবন্ধটি চিনের শব্দ ভাণ্ডারে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে। যা এখন ব্যবহার করছে অন্য দেশগুলিও।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বহু শহরেই এমন বাড়ির বহু উদাহরণ আছে। যদিও বাড়ির এমন নামকরণের কৃতিত্ব চিনেরই। ‘কাঁটা বাড়ি’ শব্দবন্ধটি চিনের শব্দ ভাণ্ডারে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে। যা এখন ব্যবহার করছে অন্য দেশগুলিও।

০৩ ১৬
চিনের এমনই একটি বাড়ি কিছু দিন হল খবরের শিরোনামে। হাইওয়ে এবং উড়ালপুল বানানোর জন্য বাড়ির মালিককে জায়গা ছাড়তে বলেছিল প্রশাসন। তবে তিনি তাতে রাজি হননি।

চিনের এমনই একটি বাড়ি কিছু দিন হল খবরের শিরোনামে। হাইওয়ে এবং উড়ালপুল বানানোর জন্য বাড়ির মালিককে জায়গা ছাড়তে বলেছিল প্রশাসন। তবে তিনি তাতে রাজি হননি।

০৪ ১৬
মাত্র ৪৩০ বর্গফুটের বাড়ি। তার বদলে বাড়ির মালিককে দুই কামরার ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল প্রশাসন। বাড়ির মালিক সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসন জানিয়েছেন, বদলে চার কামরার একটি অ্যাপার্টমেন্ট চেয়েছেন তিনি।

মাত্র ৪৩০ বর্গফুটের বাড়ি। তার বদলে বাড়ির মালিককে দুই কামরার ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল প্রশাসন। বাড়ির মালিক সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসন জানিয়েছেন, বদলে চার কামরার একটি অ্যাপার্টমেন্ট চেয়েছেন তিনি।

০৫ ১৬
যদিও বাড়ির মালকিন মিস লিয়াং জানিয়েছেন, তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি কারণ তাঁকে দেওয়া ফ্ল্যাটের পরিবেশ তাঁর পছন্দ হয়নি। এলাকাটিও মূল শহর থেকে বেশ দূরে।

যদিও বাড়ির মালকিন মিস লিয়াং জানিয়েছেন, তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি কারণ তাঁকে দেওয়া ফ্ল্যাটের পরিবেশ তাঁর পছন্দ হয়নি। এলাকাটিও মূল শহর থেকে বেশ দূরে।

০৬ ১৬
প্রায় ১০ বছর ধরে প্রশাসন ও নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে বাড়ি নিয়ে আইনি টানাপড়েন চলে লিয়াংয়ের। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বোঝাতে ব্যর্থ সংস্থাটি বাড়িটিকে অক্ষত রেখেই কাজ এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রায় ১০ বছর ধরে প্রশাসন ও নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে বাড়ি নিয়ে আইনি টানাপড়েন চলে লিয়াংয়ের। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বোঝাতে ব্যর্থ সংস্থাটি বাড়িটিকে অক্ষত রেখেই কাজ এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

০৭ ১৬
মাস কয়েক আগেই বাড়িটিকে মাঝখানে রেখে তার দু’পাশে হাইওয়ে ও সংলগ্ন উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। লিয়াংয়ের ছোট্ট বাড়ি এখন দুই লেনের রাস্তার মাঝামাঝি। বাড়ি বলতে যা বোঝায় তার কিছুই খুঁজলে পাওয়া যাবে না সেখানে। আলো-বাতাস ঢোকা বন্ধ হয়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে ধুলো, ধোঁয়া, শব্দদূষণ।

মাস কয়েক আগেই বাড়িটিকে মাঝখানে রেখে তার দু’পাশে হাইওয়ে ও সংলগ্ন উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। লিয়াংয়ের ছোট্ট বাড়ি এখন দুই লেনের রাস্তার মাঝামাঝি। বাড়ি বলতে যা বোঝায় তার কিছুই খুঁজলে পাওয়া যাবে না সেখানে। আলো-বাতাস ঢোকা বন্ধ হয়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে ধুলো, ধোঁয়া, শব্দদূষণ।

০৮ ১৬
তবে নির্মাণ সংস্থাটি আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, আর যা-ই হোক লিয়াংয়ের বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যাবে না। বাড়িটি সুরক্ষিত রাখার সবরকম বন্দোবস্ত করেই বানানো হয়েছে সেতু।

তবে নির্মাণ সংস্থাটি আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, আর যা-ই হোক লিয়াংয়ের বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যাবে না। বাড়িটি সুরক্ষিত রাখার সবরকম বন্দোবস্ত করেই বানানো হয়েছে সেতু।

০৯ ১৬
১০ বছরের লড়াই শেষে ‘জিতে যাওয়া’ লিয়াং অবশ্য বলছেন এ সব তাঁর কাছে কোনও সমস্যা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আপনি হয়তো ভাবছেন এই পরিবেশ বাসযোগ্য নয়। কিন্তু আমার কাছে এটাই শান্তি এবং আরামের ঠিকানা। স্বস্তির ঠিকানা। যেখানে মনকে মুক্ত করা যায়।’’

১০ বছরের লড়াই শেষে ‘জিতে যাওয়া’ লিয়াং অবশ্য বলছেন এ সব তাঁর কাছে কোনও সমস্যা নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আপনি হয়তো ভাবছেন এই পরিবেশ বাসযোগ্য নয়। কিন্তু আমার কাছে এটাই শান্তি এবং আরামের ঠিকানা। স্বস্তির ঠিকানা। যেখানে মনকে মুক্ত করা যায়।’’

১০ ১৬
চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে ওই এলাকায় আরও ৪৭টি পরিবারের বসবাস ছিল। তাদের নিয়ে সমস্যা হয়নি নির্মাণ সংস্থাটির। একা লিয়াংই আপত্তি তোলেন। দুই কামরার ফ্ল্যাটের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েও তাঁকে রাজি করানো যায়নি। তাঁর জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে নির্মাণ সংস্থা। আর লিয়াংয়ের জেদই তার বাড়িকে বিশ্বের অন্যতম পেরেক বাড়ির তালিকায় তুলে এনেছে।

চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে ওই এলাকায় আরও ৪৭টি পরিবারের বসবাস ছিল। তাদের নিয়ে সমস্যা হয়নি নির্মাণ সংস্থাটির। একা লিয়াংই আপত্তি তোলেন। দুই কামরার ফ্ল্যাটের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েও তাঁকে রাজি করানো যায়নি। তাঁর জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে নির্মাণ সংস্থা। আর লিয়াংয়ের জেদই তার বাড়িকে বিশ্বের অন্যতম পেরেক বাড়ির তালিকায় তুলে এনেছে।

১১ ১৬
লিয়াং অবশ্য একা নন। বাড়ির মালিকের এমন অদ্ভুত জেদের কারণে বিশ্বের অনেক বাড়িই ‘কাঁটা বাড়ি’ বা নেল হাউসের আখ্যা পেয়েছে।

লিয়াং অবশ্য একা নন। বাড়ির মালিকের এমন অদ্ভুত জেদের কারণে বিশ্বের অনেক বাড়িই ‘কাঁটা বাড়ি’ বা নেল হাউসের আখ্যা পেয়েছে।

১২ ১৬
এই তালিকায় প্রথমেই জায়গা পেতে পারে ব্রিটেনের স্কট হল খামারবাড়ির নাম। উইন্ডি হিলের এই খামার বাড়িটি ১৮ শতকে তৈরি। এর দু’পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে তিন লেনের দু’টি রাস্তা। খামারের মালিক জায়গা ছাড়তে না চাওয়াতেই নির্মাণকারীদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়।

এই তালিকায় প্রথমেই জায়গা পেতে পারে ব্রিটেনের স্কট হল খামারবাড়ির নাম। উইন্ডি হিলের এই খামার বাড়িটি ১৮ শতকে তৈরি। এর দু’পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে তিন লেনের দু’টি রাস্তা। খামারের মালিক জায়গা ছাড়তে না চাওয়াতেই নির্মাণকারীদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়।

১৩ ১৬
কাঁটা বাড়ি দেখা যাবে আমেরিকার ওয়াশিংটনেও। দু’টি বহুতলের মাঝখানে প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি দোতলা বাড়ি। বাড়ির দাম ২ লক্ষ মার্কিন ডলার। তবু বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য বাড়ির মালিককে ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল নির্মণ সংস্থা। কিন্তু মালিক অস্টিন স্প্রিগ ওই প্রস্তাব মেনে নেননি। উল্টে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নিজের বাড়িকে একটি পিৎজা রেস্তরাঁ বানিয়ে ফেলেন তিনি।

কাঁটা বাড়ি দেখা যাবে আমেরিকার ওয়াশিংটনেও। দু’টি বহুতলের মাঝখানে প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি দোতলা বাড়ি। বাড়ির দাম ২ লক্ষ মার্কিন ডলার। তবু বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য বাড়ির মালিককে ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল নির্মণ সংস্থা। কিন্তু মালিক অস্টিন স্প্রিগ ওই প্রস্তাব মেনে নেননি। উল্টে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নিজের বাড়িকে একটি পিৎজা রেস্তরাঁ বানিয়ে ফেলেন তিনি।

১৪ ১৬
আমেরিকার সিয়াটেলের বাসিন্দা এডিথ ম্যাকেফিল্ডের কাহিনিও কিছুটা অস্টিনের মতোই। বাণিজ্যিক উন্নয়নের স্বার্থে একটি বাণিজ্যিক ভবন তৈরির জন্য তাঁর বাড়িটি কিনে নিতে চেয়েছিল একটি সংস্থা। কিন্তু এডিথ রাজি হননি। ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১০৮ বছরের পুরনো ফার্মহাউসের উপর দিয়েই তৈরি হয় পাঁচ তলা বাণিজ্যিক ভবন। ৮৬ বছর বয়সে এডিথ ওই বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পর সামনে আসে অবাক করে দেওয়া একটা তথ্য। জানা যায় মৃত্যুর আগে বাড়িটি এডিথ দিয়ে গিয়েছেন ব্যারি মার্টিন নামে এক ব্যক্তিকে। ব্যারি সিয়াটেলের ওই বাণিজ্যিক ভবনটি তৈরি করেছিলেন।

আমেরিকার সিয়াটেলের বাসিন্দা এডিথ ম্যাকেফিল্ডের কাহিনিও কিছুটা অস্টিনের মতোই। বাণিজ্যিক উন্নয়নের স্বার্থে একটি বাণিজ্যিক ভবন তৈরির জন্য তাঁর বাড়িটি কিনে নিতে চেয়েছিল একটি সংস্থা। কিন্তু এডিথ রাজি হননি। ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১০৮ বছরের পুরনো ফার্মহাউসের উপর দিয়েই তৈরি হয় পাঁচ তলা বাণিজ্যিক ভবন। ৮৬ বছর বয়সে এডিথ ওই বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পর সামনে আসে অবাক করে দেওয়া একটা তথ্য। জানা যায় মৃত্যুর আগে বাড়িটি এডিথ দিয়ে গিয়েছেন ব্যারি মার্টিন নামে এক ব্যক্তিকে। ব্যারি সিয়াটেলের ওই বাণিজ্যিক ভবনটি তৈরি করেছিলেন।

১৫ ১৬
চিনের আরেকটি কাঁটা বাড়ির কথা এখানে উল্লেখ করতেই হয়। এই কাঁটাবাড়ির ছবি কিছু দিন আগেও নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছিল। জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনলিং রেল স্টেশনের কাছে হাইওয়ের ঠিক মাঝখানে ছিল পাঁচ তলা বাড়িটি। ২০০১ সাল থেকে এই বাড়ির মালিকের সঙ্গে প্রশাসনের টানাটানি চলছে। বাড়িটি ভেঙে ফেলতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না বাসিন্দারা। সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের কোনও অঙ্কই পছন্দ হচ্ছিল না তাঁদের। বাধ্য হয়েই বাড়িটির দু’পাশ দিয়ে বানানো হয় বড় রাস্তা। ২০১২ সালে অবশ্য ৪১ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বাড়িটি বেচতে রাজি হন মালিক। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়েলিংয়ের ওই পথের কাঁটা তুলে ফেলা যায়। ভাঙা হয় বাড়িটিকে।

চিনের আরেকটি কাঁটা বাড়ির কথা এখানে উল্লেখ করতেই হয়। এই কাঁটাবাড়ির ছবি কিছু দিন আগেও নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছিল। জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনলিং রেল স্টেশনের কাছে হাইওয়ের ঠিক মাঝখানে ছিল পাঁচ তলা বাড়িটি। ২০০১ সাল থেকে এই বাড়ির মালিকের সঙ্গে প্রশাসনের টানাটানি চলছে। বাড়িটি ভেঙে ফেলতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না বাসিন্দারা। সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের কোনও অঙ্কই পছন্দ হচ্ছিল না তাঁদের। বাধ্য হয়েই বাড়িটির দু’পাশ দিয়ে বানানো হয় বড় রাস্তা। ২০১২ সালে অবশ্য ৪১ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বাড়িটি বেচতে রাজি হন মালিক। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়েলিংয়ের ওই পথের কাঁটা তুলে ফেলা যায়। ভাঙা হয় বাড়িটিকে।

১৬ ১৬
শেষে একটি বাড়ির কথা না বললেই নয়। আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে উদাহরণ। কলকাতার বাগবাজার ক্রসিং আর গিরীশ এ্যাভিনিউয়ের কাছে নাট্যকার গিরীশ ঘোষের বাড়ি— গিরীশ ভবন। রাস্তার ঠিক মাঝখানে এই বাড়িটি অদ্ভুত অবস্থান দেখে অনেকেই অবাক হন। তবে এই অবস্থানের সঙ্গে বাড়ির মালিকের অনমনীয়তার কোনও সম্পর্ক নেই। বহু বছর আগে বাড়িটি  রাস্তার এক পাশেই ছিল। রাস্তাটিই সরু ছিল এখানে।  পরে এলাকার উন্নয়ন হলে রাস্তা চওড়া করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বাড়িটিতে নষ্ট করতে চায়নি প্রশাসন। তাই বাড়িটিকে মাঝখানে রেখেই দু’পাশ দিয়ে চলে যায় রাস্তা। সে দিক দিয়ে দেখলে রাস্তার মাঝ বরাবর মাথা তুলে থাকলেও এই বাড়িকে ‘কাঁটা বাড়ি’ বলাটা ঠিক হবে না।

শেষে একটি বাড়ির কথা না বললেই নয়। আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে উদাহরণ। কলকাতার বাগবাজার ক্রসিং আর গিরীশ এ্যাভিনিউয়ের কাছে নাট্যকার গিরীশ ঘোষের বাড়ি— গিরীশ ভবন। রাস্তার ঠিক মাঝখানে এই বাড়িটি অদ্ভুত অবস্থান দেখে অনেকেই অবাক হন। তবে এই অবস্থানের সঙ্গে বাড়ির মালিকের অনমনীয়তার কোনও সম্পর্ক নেই। বহু বছর আগে বাড়িটি রাস্তার এক পাশেই ছিল। রাস্তাটিই সরু ছিল এখানে। পরে এলাকার উন্নয়ন হলে রাস্তা চওড়া করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বাড়িটিতে নষ্ট করতে চায়নি প্রশাসন। তাই বাড়িটিকে মাঝখানে রেখেই দু’পাশ দিয়ে চলে যায় রাস্তা। সে দিক দিয়ে দেখলে রাস্তার মাঝ বরাবর মাথা তুলে থাকলেও এই বাড়িকে ‘কাঁটা বাড়ি’ বলাটা ঠিক হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy