সমস্ত সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, ত্রৈমাসিক বা ছ’মাস অন্তর বিনিয়োগের সুবিধা নেই। এ ক্ষেত্রে লগ্নির আগে কত দিন অন্তর টাকা জমা করতে হবে, তা গ্রাহককে ভাল ভাবে জেনে নিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বিনিয়োগকারী ইচ্ছা করলে টাকার অঙ্ক একই রাখতে পারেন। আবার লগ্নির পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাসের সুযোগও রয়েছে।
দৈনিক ২৫০ টাকা এবং মাসে ৭,৫০০ টাকা এসআইপিতে লগ্নির ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, দৈনিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রাহককে ৩৬৫ দিন লগ্নি করতে হবে। লিপ ইয়ার হলে বিনিয়োগের দিনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৬৬। অন্য দিকে মাসে ৭,৫০০ টাকা করে এসআইপিতে জমা করলে বছরে মোট ৩৬০ দিন লগ্নি করবেন ওই গ্রাহক। এ ক্ষেত্রে ৩০ দিনে মাস হিসাব করবে সংশ্লিষ্ট মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা।
এসআইপিতে বছরে ১২ শতাংশ বা তার বেশি সুদ পাওয়া যেতে পারে। এতে গ্রাহক তাঁর লগ্নির উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাবেন। এখন দৈনিক ২৫০ টাকা করে এসআইপিতে ২০ বছর লগ্নি করলে মোট বিনিয়োগের অঙ্ক দাঁড়াবে ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এর উপর সুদ বাবদ ৫৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৯০ টাকা পাবেন তিনি। অর্থাৎ, ২০ বছর শেষে সুদেমূলে মিলবে ৭৬ লক্ষ ২০ হাজার ৯৯০ টাকা। উল্লেখ্য, এখানে সুদের হার বছরে সুদের হার ১২ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।
আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য এসআইপিতে বিনিয়োগ শুরু করার আগে ব্যয়ের হিসাব এবং আর্থিক সঙ্গতির বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। উদাহরণ হিসাবে, সন্তানের শিক্ষার খরচের কথা ভেবে অনেকে এসআইপি করে থাকেন। এতে ২০ বছর পর ২৫ লক্ষ টাকা বা ২৫ বছর পর ৩৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। এসআইপি থেকে ওই টাকা পেতে হলে গ্রাহককে কমপক্ষে ৩০ বছরের জন্য এতে লগ্নি করতে হবে।
আর্থিক বিশ্লেষকদের কথায়, শেষ তিন মাস বাদে দু’বছর ধরে যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার। এর সুফল পাচ্ছেন মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নিকারীরা। এসআইপিতে কম করে হলেও ১২ শতাংশ সুদ মিলছে। বাজার আরও চড়লে এই অঙ্ক ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সুদেমূলে প্রাপ্তির পরিমাণ যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy