মুহাম্মদ ইউনূস। — ফাইল চিত্র।
শুধুমাত্র বাংলাদেশকেই আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছে আমেরিকা, এমন নয়। আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)-এর সাহায্য বন্ধ করা প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। তিনি এ-ও দাবি করেছেন যে, এটা ‘প্রত্যাশিত’ ছিল। যদিও তাঁর দাবি, এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সরকারি ভাবে কোনও কিছু জানায়নি আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আগের মতোই সাহায্য পাঠাবে আমেরিকা।
আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) থেকে যে সাহায্য এত দিন পেত বাংলাদেশ, এ বার তা বন্ধ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট কোনও দেশকে সাহায্য বন্ধ করেছে, এমন নয়।’’ তিনি এ-ও দাবি করেছেন যে, আমেরিকা এই নিয়ে সরকারি ভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এখনই বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারব না। কারণ, সরকারি ভাবে কোনও তথ্য পাইনি। সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে খবর ঘুরছে।’’ হোসেন জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এটা ‘প্রত্যাশিত’-ই ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘এটা প্রত্যাশিত। কারণ, আমেরিকায় ভোটের আগে থেকেই তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) বলে চলেছেন যে, বিদেশে পাঠানো সাহায্যের বিষয়টি তিনি পর্যালোচনা করবেন। ওরা বলেছে, এই নিয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় নিচ্ছে। এ ধরনের সাহায্য যে কমবে, তা নিয়ে সকলেরই উদ্বেগ ছিল।’’ তবে তাঁর দাবি, বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আগের মতোই সাহায্য করবে আমেরিকা।
একই দাবি করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব। তাঁর দাবি, রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য বন্ধ করছে না আমেরিকা। এর জন্য তিনি ট্রাম্প সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার পরে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা (একজিকিউটিভ অর্ডার)-তে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার জেরেই বাংলাদেশে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল ইউএসএইড। শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি, প্রকল্প বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। ইজ়রায়েল এবং মিশর ছাড়া সব দেশের জন্যই আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, নতুন করে সাহায্যের বিষয়গুলি অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত এই সাহায্য দেওয়া যাবে না। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর খবরে প্রকাশ, ভারতের ক্ষেত্রে অনুদান দেওয়া জারি থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনও ‘পর্যালোচনা’ করছে নয়াদিল্লির আমেরিকান দূতাবাস।
প্রায় ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশকে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা-সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য করেছে আমেরিকা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, ৮০০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা সাহায্য দিয়েছে আমেরিকা। এ বার সেই সাহায্য দেওয়ার বন্ধ করল ট্রাম্প সরকার। যদিও আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাহায্য দেওয়া হবে বলেই দাবি করেছে বাংলাদেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy