ছবি: রয়টার্স।
বিদ্রোহ শেষ। সপ্তাহের প্রথম দিনে বার্সেলোনা কিছুটা যেন সেই পুরনো চেহারায়।
অফিস-কাছারিতে কর্মীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক। ক্যাটালোনিয়ার সরকারি সদর দফতরও বেশ শান্ত। একটি অফিসের রিসেপশন ডেস্কের তরুণীও জানালেন, সব ঠিকই আছে। এমনকী স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে সদ্য ভেঙে দেওয়া প্রাদেশিক পার্লামেন্টের স্পিকার কার্ম ফোর্কাডেল আজ টুইট করেছেন, ‘‘আমরা কাজ করছি।’’ তবু কোথায় যেন কী ঠিক নেই, জানান দিচ্ছে শহরের পথঘাট। বার্সেলোনার আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। সরকারি দফতরের বাইরে কড়া পুলিশি পাহারা।
এর মধ্যেই স্পেনের সরকারি আইনজীবী হোসে ম্যানুয়েল মাজা ক্যাটালোনিয়ার বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে ‘স্বাধীনতা’ ঘোষণার অপরাধে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট কার্ল পুইদমঁ-সহ সমস্ত বিদ্রোহী নেতা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করা হোক।’’ পুইদমঁ যে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন, সে কথা আগেও শোনা গিয়েছিল। দেশদ্রোহের অপরাধে ৩০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তাঁর। ইতিমধ্যেই তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বেলজিয়াম।
পুইদমঁ অবশ্য অনড়ই। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি— পার্লামেন্টের ভিতর থেকে বাইরের খোলা আকাশ। নীচে লেখা, ‘সুপ্রভাত’। পুরনো ছবি যে, সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এ দিন কোনও ভাবেই পার্লামেন্টে ঢুকতে বা বেরোতে দেখা যায়নি পুইদমঁকে। অনেকেই বলছেন, ছবির ওই খোলা আকাশ যথেষ্টই ইঙ্গিতবাহী। এমনিতেই নিজের শহর গিরানো থেকে ঘোষণা করেছেন তিনি, স্বাধীন ক্যাটালোনিয়া গড়বেনই। শান্তিপূর্ণ ভাবে বিদ্রোহ চালিয়ে যেতে বলেছেন সমর্থকদের।
স্পেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হুয়ান ইগনাসিও জোইডো আজ ক্যাটালোনিয়ার নয়া পুলিশ প্রধান ফেরান লোপেজের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বলেন জোইডো বলেন, ‘‘যে করেই হোক আমাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে এবং সুস্থ ভাবে ২১ ডিসেম্বরের ভোট সম্পন্ন করতে হবে।’’ আপাতত তার জন্যই দিন গুনছে ক্যাটালোনিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy