প্রধানমন্ত্রী: বুধবার পার্লামেন্টে মারিয়ানো রাহয়। মাদ্রিদে। ছবি: রয়টার্স।
আলোচনা নয়। কোনও রকম ধোঁয়াশাও রাখতে চাইছে না মাদ্রিদ। আনুষ্ঠানিক ভাবে তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে কি না, স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার আগে ক্যাটালনের কাছে সেটাই জানতে চাইলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহয়। আজ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে রাহয় বলেন, ‘‘এখন কার্ল পুইদমঁ কী বলেন, তার উপরই দাঁড়িয়ে আছে ক্যাটালনের ভবিষ্যৎ। ক্যাবিনেট ওঁর জবাব চাইছে।’’
ক্যাটালনের প্রাদেশিক প্রেসিডেন্ট নিজে কী চাইছেন, সেটা স্পষ্ট হয়নি আজও। গতকাল ক্যাটালনের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করার কথা ছিল পুইদমেঁর। যা থেকে ফের অশান্তি ছড়াতে পারে ধরে নিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আয়োজনও করেছিল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রায় শেষ মুহূর্তে গিয়ে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যান ক্যাটালনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের মুখ। সব বলেন, শুধু ওই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া।
কিন্তু কেন? জল্পনা ছড়াতে থাকে আন্তর্জাতিক মহলেও। কেউ বলেন, গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করেই পিছিয়ে আসেন পুইদমঁ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে আরও এক বার আলোচনার প্রস্তাব দেন মাদ্রিদকে। অনেকে আবার এ-ও বলেন, স্পেনের হাত থেকে পিঠ বাঁচিয়ে নিজেদের গ্রেফতারি এড়াতেই বৈঠকের কথা বলেন তিনি।
রাহয় বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি যে দিকে এগোবে তা বুঝে সরকার সংবিধানের ১৫৫ ধারা প্রয়োগ করবে।’’ যদি দেশের কোনও অঞ্চল আইনি ব্যবস্থা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়, তবে স্পেনের সংবিধানের ওই ধারা চাপিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সেই অঞ্চলে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারে।
তবে স্পেনের এমপি বাতালার হুইজের মতে, আলোচনার পথেই এগোনো উচিত প্রধানমন্ত্রীর। হুইজ বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, মারিয়ানো রাহয়ের উচিত কথা শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া। ক্যাটালনে এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক মীমাংসা। কোনও এক ধরনের মধ্যস্থতা যাতে সমস্যার সমাধান হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy