বিস্ফোরণের পর চার্চের বাইরে জটলা। ছবি-রয়টার্স।
আবার আইএসের হামলা মিশরে।
একটি চার্চে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন ৩৬ জন। গুরুতর জখম হয়েছেন কম করে ১৪০ জন। পরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, রবিবার ‘পাম সানডে’ উপলক্ষ্যে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ গিয়েছিলেন রাজধানী কায়রোর উত্তরে টান্টায় নাইল ডেল্টা সিটির (নিল নদের অববাহিকার শহর) কপটিক চার্চে। কায়রোর ৭৫ মাইল উত্তরে ওই চার্চে প্রতি বছরই এই দিনে আসেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। তাঁরা সকলেই কপটিক সম্প্রদায়ের খ্রিস্টান। ‘পাম সানডে’ তাঁদের কাছে একটি পবিত্র দিন। ওই দিনই জেরুজালেমে পৌঁছেছিলেন যিশু।
মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘নাইল টেলিভিশন চ্যানেল’ জানিয়েছে, রবিবার ভারতীয় সময় দেড়টা নাগাদ (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা) মার গির্গিস কপটিক চার্চে যখন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন প্রার্থনার জন্য, তখনই শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বোমাটি চার্চের ভেতরেই রাখা ছিল।
টান্টের প্রভিন্সিয়াল গভর্নর আহমেদ ডেইফ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘হয় কেউ বোমাটি চার্চের ভেতরে রেখে গিয়েছিল। না হলে কোনও আত্মঘাতী জঙ্গি ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। চার্চের ভেতরে বা তার আশপাশের এলাকার আর কোথাও কোনও বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে কি না, নিরাপত্তা বাহিনী তা খুঁজে দেখছে।’’
পুলিশ জানাচ্ছে, কপটিক সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানরা মিশরের মোট জনসংখ্যার এক-দশমাংশ। গত এক দশক ধরে মিশরের নানা প্রান্তে তাঁদের ওপর নানা রকমের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক মাসে সেই হামলার ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়েছে। জঙ্গি ও মৌলবাদী মুসলিমরা বরাবরই কপটিক সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানদের শত্রু মনে করে এসেছে। ২০১৩ সালে মুসলিম প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোর্সি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আরও বেশি করে টার্গেট হয়ে ওঠেন কপটিক সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানরা। গত ডিসেম্বরে কায়রোয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী জঙ্গির বিস্ফোরণে কপটিক সম্প্রদায়ের ২৯ জন খ্রিস্টান প্রাণ হারান। ২৮ এপ্রিল কায়রো আসার কথা পোপ ফ্রান্সিসের।
মিশরের সেনাবাহিনী এখন সিনাইয়ে আইএসের ঘাঁটিগুলি আক্রমণ করছে। এই ঘটনা তারই বদলা হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে রণক্ষেত্র কাশ্মীর, বুথে হামলা, বাসে আগুন, গুলিতে হত ৫
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy