গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে। ছবি: রয়টার্স।
রাত ১০টাতেও (বাংলাদেশের সময়) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়। ইতিউতি কান্না আর আর্তনাদ। চলছে অ্যাম্বুল্যান্সের বিরামহীন ছোটাছুটি। ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় দাঁড়াতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
সরকারি সূত্রের খবর, গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন কয়েক জনের অবস্থা ‘গুরুতর’। ফলে মৃত্যুমিছিল দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাজমুল হক জানিয়েছেন, আহতদের দেহে স্প্লিন্টারের ক্ষত রয়েছে।
তবে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার পাশাপাশি উঁকি দিচ্ছে, সিদ্দিকবাজারের ৭তলা বাড়িটির নীচের একটি দোকানে নিষিদ্ধ বিস্ফোরক মজুত রাখার সম্ভাবনাও। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-এর কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ নাশকতা না কি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জানাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তানে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন’ (বিআরটিসি)-এর বাস কাউন্টারের পাশে সিদ্দিকবাজারের দু’টি বাড়ির মধ্যে একটির (৭তলা) নীচেরতলার একটি দোকানে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে বহুতলটির একাংশ কার্যত গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তার পাশের ৫ তলা বাড়িটিও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy