আমেরিকার অবস্থান ঘিরে ধোঁয়াশা গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এখনও পর্যন্ত আমেরিকার প্রায় ১৫ হাজার নাগরিক আটকে রয়েছেন আফগানিস্তানে। তাঁদের বার করে আনার চেষ্টা করছে জো বাইডেন প্রশাসন। অন্য দিকে, আফগান নাগরিকদেরও দেশের বাইরে বার করে আনার আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর এই দেশ। কেউ বলছে, তালিবানি আগ্রাসনের পিছনে মদত রয়েছে আমেরিকার। আবার কেউ বলছে, এত অল্প দিনে যে তালিবান প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান দখল করে নেবে, তা আগে থেকে আন্দাজই করতে পারেনি আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে কাদের অগ্রাধিকার দেবে আমেরিকা, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দুনিয়া।
ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ১৫ হাজার নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে আসা তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। কাউকে সেখানে ফেলে আসা হবে না।
এরমধ্যে ব্রিটেন, ইতালি, সৌদি আরবের মতো দেশের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কাবুল থেকে আমেরিকার নাগরিকদের বার করে আনার জন্য বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেককে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার ফলেই সেখান থেকে আমেরিকার নাগরিকদের বার করতে সমস্যা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে আফগানদের ফিরিয়ে আনার দিকেও নজর দিচ্ছে আমেরিকা। ব্লিঙ্কেন টুইটে লিখেছেন, ‘সব সহযোগী দেশের সঙ্গে মিলে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। সেখানকার মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার জন্য কী করা হচ্ছে, সে দিকেও খেয়াল রাখছি। যাতে সবাই নিজেদের অধিকার ফিরে পান সেই চেষ্টা করা হবে।’
আমেরিকা জানিয়েছে, প্রায় ৬৫ হাজার আফগানকে বার করে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এই বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। অন্যান্য দেশও যাতে আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে পারে, সেই আবেদন জানিয়েছে তারা। অবশ্য এখনও আফগান পরিস্থিতিতে আমেরিকার অবস্থা ঘিরে প্রশ্ন তুলছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। শুধু নিজেদের নাগরিকদের বার করে আনা, না কি আফগানদের সাহায্য— কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে বাইডেন প্রশাসন সেই বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যার স্পষ্ট জবাব মেলেনি ব্লিঙ্কেনের টুইট বা বাইডেনের বক্তব্যেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy