শ্বশুরবাড়ি কোটিপতি। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে যাতায়াত করেন। কয়েক কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি। সম্ভ্রান্ত পরিবার দেখেই বাড়ির লোক তাঁর সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই যখন আসল সত্যটা প্রকাশ্যে এল, তা জেনে একেবারে বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তরুণী।
ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি। ওই তরুণী জানান, শ্বশুরবাড়িতে কোনও রকম আর্থিক অনটন নেই। ঝাঁ-চকচকে বাড়ি, গাড়ি, এমনকি সর্ব ক্ষণের জন্য পরিচারক এবং পরিচারিকাও রয়েছেন। তরুণীর দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু সেটি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল তা আঁচ করতে পারেননি। আর আঁচ করা সম্ভবও ছিল না। কারণ ঐশ্বর্য আর বৈভবের কোনও খামতি ছিল না শ্বশুরবাড়িতে।
তরুণী জানান, প্রতি দিনই কোটি টাকার গাড়িতে চেপে স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি বেরিয়ে যেতেন। বলে যেতেন কাজে যাচ্ছেন। আবার একসঙ্গে ফিরেও আসতেন। অনেক বার তাঁদের জিজ্ঞাসাও করেছিলেন ব্যবসা সম্পর্কে। কিন্তু সকলেই সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি তরুণীর। তাই তাঁর মনে একটা খটকা লেগেছিল। সবাই একসঙ্গে কোন কাজে যাচ্ছেন? এই কৌতূহল তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। তাই এক দিন স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁদের পিছু নেন তরুণী। দূর থেকে অনুসরণ করছিলেন তিনি। তরুণী জানান, গাড়ি থেকে স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি নামেন। তার পর ছেঁড়া পোশাক বার করে গায়ে গলিয়ে নেন তিন জনেই। তার পর হাতে একটি করে বাটি নিয়ে তিন জন তিন দিকে ভিক্ষা করতে চলে যান। কোটিপতি স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে এই ভাবে দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখান থেকেই টাকার আয়ের উৎস জানতে পারেন তিনি। আসলে ভিক্ষাবৃত্তি করেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি যে কোটিপতি হয়েছে, তা জানার পর থেকেই মুষড়ে পড়েন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যার জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করা হয়েছে। তরুণীর আরও দাবি, ভিখারিবেশে সাজানোর জন্য এক জন মেকআপ আর্টিস্টও রেখেছেন তাঁরা। ঘটনাটি লাহোরের। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।