9th Century Shiva linga in Vietnam temple Unearthed by ASI dgtl
vietnam
বয়স ১১০০ বছর, ভিয়েতনামে মন্দিরের ভগ্নাবশেষ থেকে উদ্ধার প্রাচীন শিবলিঙ্গ
চতুর্থ থেকে চতুর্দশ শতক অবধি চম্পা ছিল দক্ষিণ ভারতীয় রাজাদের শাসনে। সে সময়ে এখানে বহু মন্দির তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে বেশির ভাগ মন্দিরেই উপাস্য ছিলেন মহাদেব বা শিব। তাঁকে এখানে অনেক নামে উপাসনা করা হয়। তবে সবথেকে প্রচলিত হল ‘ভদ্রেশ্বর’।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২০ ১৬:২৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
নবম শতকের শিবলিঙ্গ। খোঁজ মিলল ভিয়েতনামে, প্রাচীন মাই সন বা মি সেন মন্দির চত্বরের ভগ্নাবশেষে। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বা এএসআই-এর খননে পাওয়া গিয়েছে পুরানিদর্শনটি।
০২১১
ভিয়েতনামের কুয়াং নাম প্রদেশের প্রাচীন এই মন্দির চত্বরে গত কয়েক দিন ধরেই সংস্কারপর্ব চলছে। সে সময়েই পাওয়া গিয়েছে ১১০০ বছরের প্রাচীন শিবলিঙ্গটি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন এই খবর।
০৩১১
মি সেন হল প্রাচীন হিন্দু মন্দির প্রাঙ্গণ। সেখানে কিছু মন্দির গুচ্ছকে একসঙ্গে বলা হয় ‘চাম মন্দির’। এই ‘চাম’ এসেছে ‘চম্পা’ থেকে। প্রাচীনকালে চম্পা-ই নাম ছিল মধ্য ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের। দীর্ঘদিন বৃহত্তর ভারতবর্ষের প্রভাব পড়েছিল এই ভূখণ্ডে।
০৪১১
পল্লব, চোল-সহ দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের শাসকরা ছিলেন নৌবিদ্যায় পারদর্শী। তাঁরা দীর্ঘদিন শাসন করেছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বহু ভূভাগ। চম্পা-ও সেগুলির মধ্যে অন্যতম।
০৫১১
চতুর্থ থেকে চতুর্দশ শতক অবধি চম্পা ছিল দক্ষিণ ভারতীয় রাজাদের শাসনে। সে সময়ে এখানে বহু মন্দির তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে বেশির ভাগ মন্দিরেই উপাস্য ছিলেন মহাদেব বা শিব। তাঁকে এখানে অনেক নামে উপাসনা করা হয়। তবে সবথেকে প্রচলিত হল ‘ভদ্রেশ্বর’।
০৬১১
ইন্দোনেশিয়ার বরবুদুর স্তূপ এবং কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করা হয় মি সেন মন্দিরগুচ্ছকেও। ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে মি সেন বা মাই সনের ঐতিহাসিক ক্ষেত্রকে।
০৭১১
রাজা দ্বিতীয় ইন্দ্রবর্মনের শাসনকালকে বলা হয় চম্পা সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ। অধিকাংশ মন্দিরই সে সময়ে তৈরি হয়েছিল। এর আগেও ছ’টি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল মি সেনের চাম মন্দিরগুলি থেকে।
০৮১১
আরও অনেক ঐতিহাসিক ক্ষেত্রের মতো এই মন্দির গুচ্ছও কালের স্রোতে চলে গিয়েছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। বিংশ শতকের গোড়ায় আবার এর অস্তিত্বের কথা সামনে আসে ফরাসি অভিযাত্রী ও ইতিহাসবিদদের দৌলতে।
০৯১১
সে সময়ে তাঁরা এই মন্দির প্রাঙ্গণে বহু শিবলিঙ্গের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন। সেই ভাস্কর্যগুলিই ধীরে ধীরে এত বছর ধরে প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। তবে যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক জটিলতায় বিলম্ব ঘটেছে উদ্ধারকাজে। আমেরিকার সঙ্গে ভিয়েতনামের যুদ্ধেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই ঐতিহাসিক কীর্তি।
১০১১
বিদেশমন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার অধীনে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির চিহ্নকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১১১১
সেই উদ্যোগর অংশ-ই এই আবিষ্কার। এর ফলে ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রাচীন যুগে সম্পর্ক কেমন ছিল, ইতিহাসের সেই অধ্যায়ের উপর নতুন করে আলো পড়ল বলে ধারণা ইতিহাসবিদদের।