ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার ৭৫৫ জন কূটনীতিককে রাশিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই টানাপড়েন শুরু হয় ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্কে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে মার্কিন প্রশাসন মেরিল্যান্ড ও লং আইল্যান্ডে দু’টি রুশ কূটনৈতিক ভবনের দখল নেয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারিতে সায় দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
এরই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেশে মার্কিন কূটনীতিক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো। শুক্রবার মস্কোতে একটি গুদাম ও মস্কো নদীর তীরে একটি জায়গায় মার্কিন কূটনীতিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় রুশ সরকার। সেই সঙ্গে রুশ বিদেশ মন্ত্রক মার্কিন কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে ৪৫৫ জন করার দাবি জানায়। আমেরিকায় এখন ৪৫৫ জন রুশ কূটনীতিকই কাজ করেন।
আজ এক টিভি সাক্ষাৎকারে পুতিন জানান, মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলিতে এখনও হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে রাশিয়া ছাড়তে হবে। পুতিন বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম রুশ-মার্কিন সম্পর্কে পরিবর্তন হবে। কিন্তু এখন বুঝেছি পরিবর্তন হলেও অনেক সময় লাগবে।’’
বস্তুত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতেই মস্কো মার্কিন নির্বাচনে নাক গলিয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি যে ট্রাম্পের বিশেষ পছন্দ নয়, সেটা অজানা কিছু নয়। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসেই এখন ওই রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত চলছে। কংগ্রেসের বড় অংশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার পক্ষপাতী। এই পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব সমর্থন করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে রাশিয়া ও আমেরিকার দূরত্ব বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy