১৪তম সন্তানের জন্মের সময় মমতাজের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই ১৬৩১ সালে শাহজাহান স্ত্রী মমতাজের স্মৃতির উদ্দেশে তাজমহল বানাতে শুরু করেন। ২২ বছর লেগেছিল তাজমহল বানাতে। মনে করা হয়, তাজমহলে হাজারের বেশি গোপন ঘর রয়েছে। তার বেশিরভাগই আজ পর্যন্ত কেউ খুলতে পারেননি। এই গোপন দরজার ওপারে কী রয়েছে তা রহস্যই থেকে গিয়েছে।
পদ্মনাভস্বামী মন্দির: কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দির। ভারতের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এবং একই সঙ্গে বিস্ময়করও। জানা যায়, এই মন্দিরে এমন একটা দরজা রয়েছে, যা খোলার কোনও উপায় নেই। কতগুলো কৃত্রিম সাপ সেটা জড়িয়ে রয়েছে শুধু। না রয়েছে কোনও হাতল, না কোনও তালা, না কোনও ছিটকানি জাতীয় কিছু। তাও অনেক চেষ্টা করেও এই দরজা খোলা যায়নি।
ষষ্ঠ শতকে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর উদ্দেশে এই মন্দির প্রতিষ্টা করা হয়েছিল। প্রচুর ধনসম্পত্তিতে ভরা ছিল এই মন্দির। এই মন্দিরের ভিতরে ছ’টা সিল করা ভল্ট ছিল। এই ছ’টা ভল্টেই লোহার শক্ত দরজা দিয়ে বন্ধ করা ছিল। এর মধ্যে পাঁচটা দরজা খোলা গিয়েছে। তার মধ্যে থেকে প্রচুর মূল্যবান ধনসম্পত্তি উদ্ধার করা গিয়েছে। কিন্তু ‘চেম্বার বি’ আজ পর্যন্ত খোলা যায়নি।
টেরাকোটা সেনা: ঠিক যেন আলাদা একটা সাম্রাজ্য। বিশাল তার সেনাবাহিনী। দুর্গদ্বার আগলে যেন পাহারা দিয়ে যাচ্ছে দিবারাত্র, বছরের পর বছর। যে বাহিনীর বেশিরভাগটাই মাটির বা ব্রোঞ্জের। বিশ্বকে বিস্ময়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল চিনের জিংওয়ার এই টেরাকোটা আর্মি। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে মাটির নীচে আরও একবার ‘জীবন্ত’ হয়ে উঠেছিল এই টেরাকোটা সেনারা।
১৯৭৪ সালে জিংওয়ার এক কৃষক পরিবার বাড়ির কাছেই পাতকুয়োর জন্য গর্ত খুঁড়ছিল। মাটি থেকে দু’মিটার নীচে অপেক্ষাকৃত শক্ত এবং লাল রঙের মাটি ছিল। সেখান থেকেই টেরাকোটা সেনার আবিষ্কার। পরে ভূতত্ত্ববিদেরা প্রায় ২০ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে খনন করে ৮ হাজার সেনা, ১৩০টি রথ, ৫২০টি ঘোড়া এবং ১৫০ ঘোড়সওয়ার সেনার মূর্তি বার করেন। টেরাকোটা সেনার মাঝে একটি দরজাও পেয়েছেন ভূতত্ত্ববিদেরা। তবে সেই দরজার পিছনে কী রয়েছে তা আজও জানা যায়নি।
মাটির নীচে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা চিনের এই টেরাকোটা সেনা নিয়ে নানা মত রয়েছে। যে কৃষক পরিবার এর খোঁজ পেয়েছিল, তাঁদের নাকি তারপরই অর্থকষ্ট দেখা দেয়। কঠিন অসুখ হয় পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে একভাই আত্মহত্যা করেন, বাকিরা অসুখে মারা যান। বন্ধ দরজা খুললে আরও বড় ‘অভিশাপ’ নেমে আসতে পারে, বিশ্বাস অনেকের।
মিশরের পিরামিড বা স্ফিংস মানুষের এমন একটা সৃষ্টি, যা আজকের যুগেও আর্কিটেক্টরা কল্পনাতেও আনতে পারবেন না হয়তো। কী ভাবে এর সৃষ্টি? কারা বানিয়েছিল? এ নিয়ে নানা মতবাদ রয়েছে। অনেকের বিশ্বাস, বাইরের দুনিয়া থেকে এলিয়েনরা বানিয়ে গিয়েছে। অনেকে মনে করেন, মিশরের বালির নীচেই কোথাও একটা লাইব্রেরি রয়েছে। আর সেখানেই রহস্যময় পিরামিড বানানোর খুঁটিনাটির উল্লেখ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy