ফের খেলার ময়দানে আত্মঘাতী হামলা। এ বার পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে। রবিবার দুপুরের ওই ঘটনায় অন্তত পক্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকতিকা প্রশাসনের মুখপাত্র মোকিস আফগান জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন পাকতিকার ইয়াকালি অঞ্চলে রবিবার দুপুরে একটি আন্তঃপ্রদেশ ভলিবল ম্যাচ চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৪৫ জন। আহত আরও ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ম্যাচ দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল। ভিড়ের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল আত্মঘাতী জঙ্গি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই ন্যাটো বাহিনীকে আরও এক বছর দেশের মাটিতে থাকতে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয়েছে আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে। ১৩ বছর দেশে ভিনদেশি সেনার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তালিবান এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি লাগাতার নাশকতা ছড়িয়েছে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ, পার্লামেন্টে অনুমোদিত হওয়া নতুন প্রস্তাবে জানানো হয়েছে, ন্যাটো বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহকারী বাহিনীর (ইন্টারন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ফোর্স বা আইএসএএফ) ১২০০০ সেনা আগামী বছরও মোতায়েন থাকবে আফগানিস্তানে। পার্লামেন্টে ১৫২-৫ ভোটাভুটির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র নাজিফুল্লাহ সালারজাইয়ের কথায়, “আফগানিস্তানের জাতীয় বাহিনীকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেবে ন্যাটো বাহিনী। প্রয়োজনে সাহায্যও করবে।”
২০১০ সালের ১ জানুয়ারি একই ভাবে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি ভলিবল ম্যাচ চলাকালীন আত্মঘাতী হামলায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়, ওই হামলা চালিয়েছিল তেহরিক-ই-তালিবান। সরকারি সেনার সঙ্গে সহযোগিতা করার শাস্তি দিতে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালিয়েছিল তালিবান।
প্রসঙ্গত, পাক সীমান্ত ঘেঁষা পাকতিকা প্রদেশ আফগানিস্তানের সব চেয়ে উপদ্রুত এলাকাগুলোর একটি। পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান, বান্নু এবং কুর্রম সংলগ্ন পাকতিকা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির পুরনো ঘাঁটি বলেই চিহ্নিত। হক্কানি এবং তালিবানের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী পাকতিকার বেশ কিছু এলাকা দখলও করে রেখেছে। তবে রাত পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী আজকের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy