Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
International News

উনিশ বছরে একশো কোটিরও বেশি টাকার মালিক স্কুলপড়ুয়া অক্ষয়!

বছরখানেকের মধ্যেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকেই নিজের অনলাইন ব্যবসা সামলেছেন অক্ষয়। নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে সম্পত্তি কেনাবেচায় মানুষজনকে সাহায্য করে তাঁর সংস্থা ‘ডোরস্টেপস ডট কো ডট ইউকে’।

ছবি অক্ষয় রুপারেলিয়ার ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।

ছবি অক্ষয় রুপারেলিয়ার ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ১১:৩৫
Share: Save:

আর পাঁচটা স্কুল পড়ুয়ার মতো পকেটমানির চিন্তা করতে হয় না অক্ষয় রুপারেলিয়াকে। কারণ, মাত্র উনিশেই একশো কোটিরও বেশি টাকার মালিক তিনি।

উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা স্কুল পড়ুয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত অক্ষয় সম্প্রতি ব্রিটেনের কমবয়সী কোটিপতিদের তালিকায় নাম তুলে ফেলেছেন। বছরখানেকের মধ্যেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকেই নিজের অনলাইন ব্যবসা সামলেছেন অক্ষয়। নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে সম্পত্তি কেনাবেচায় মানুষজনকে সাহায্য করে তাঁর সংস্থা ‘ডোরস্টেপস ডট কো ডট ইউকে’। ১৬ মাস আগে সংস্থার পথচলা শুরু। এই মুহূর্তে যা এখন ব্রিটেনের বৃহত্তম সংস্থাগুলির মধ্যে ১৮ নম্বরে রয়েছে।

শুরুর দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে অক্ষয় বলেন, “সংস্থার ওয়েবসাইট চালুর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সাসেক্সের এক জনের কাছ থেকে ফোন কল আসে। সেখানে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। সঙ্গে একফালি জমি। দুটোই বেচতে চান তিনি।” সে সুযোগ হাতছাড়া করেননি অক্ষয়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন সাসেক্সে। নিজের গাড়ি ছিল না। ড্রাইভিং লাইসেন্স তো দূরের কথা। ফলে ভগ্নীপতিকে ৪০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা) দিয়েছিলেন তাঁকে সাসেক্সে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। সাসেক্সে পৌঁছে সেই জমি-বাড়ির ছবি তুলে আনেন অক্ষয়। এর পর তা বিক্রি করেছিলেন তিনি। সেই শুরু। কৌশিক এবং রেনুকা রুপারেলিয়ার ছেলেকে এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। কেয়ার ওয়ার্কার কৌশিক এবং স্কুলশিক্ষিকা রেনুকা— দু’জনেই বধির। ছেলের সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই গর্বিত তাঁরা।

আরও পড়ুন

জল্পনা শেষ, মুকুলকে দলেই নিচ্ছে বিজেপি

বুদ্ধবাবু ‘পরিবারের এক জন’, মন্তব্য মমতার

অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পুলিশ মহলেও

অক্ষয়ের সাফল্যের মতো তাঁর ব্যবসার পদ্ধতিও খানিকটা আলাদা। স্যুট-বুট পরা ঝাঁচকচকে এস্টেট এজেন্টের বদলে তাঁর ব্যবসায় কর্মী হিসেবে রয়েছেন মধ্যবয়সী গৃহিনীরা। তাঁরাই ক্রেতাদের ঘর-বাড়ি দেখাতে নিয়ে যান। এই মুহূর্তে তাঁর সংস্থায় কাজ করেন জনা বারো কর্মী। তা এমন মধ্যবয়সী গৃহিনীদের উপরেই ভরসা কেন অক্ষয়ের? তাঁর মতে, “মায়েদের উপরে ক্রেতাদের আস্থা আছে। আর মায়েরা সত্যি কথা বলেন! এই ব্যবসায় সেটা খুবই জরুরি। কারণ, যাঁরা নিজেদের ঘর-বাড়ি বিক্রি করছেন, বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই তা তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় লেনদেন।”

মা-বাবার থেকে আর পকেটমানি নেন না অক্ষয়। বরং তিনিই মা-বাবাকে আর্থিক ভাবে ভরসা দেন। আর পাঁচটা স্কুলপড়ুয়ার মতো নন তিনি। না হলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ ছেড়ে দেন! কারণ ব্যবসায় মন দিতে চান অক্ষয়। তবে একটা সাধ এখনও মেটেনি তাঁর। ব্যবসার মুনাফা থেকে প্রতি মাসে টাকা জমানো শুরু করেছেন। একটা গাড়ি কিনতে চান অক্ষয়!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE