Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
কোরপান কাণ্ড

পরীক্ষা আজ, চার হবু ডাক্তার জেলেই

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রাবাসে কোরপান শাহ নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের মামলায় অভিযুক্ত চার হবু চিকিৎসককে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। পরীক্ষায় বসার জন্য জামিনের আর্জি জানান চার জনই। তবে তা মঞ্জুর হয়নি। জাভেদ আখতার, অনুরাগ সরকার, ইউসুফ জামাল ও অরিজিৎ মণ্ডল নামে ওই চার অভিযুক্তকে সোমবার শিয়ালদহ আদালতের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হয়। জাভেদ, অনুরাগ ও অরিজিৎ নীলরতনের তৃতীয় বর্ষের এবং ইউসুফ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৭
Share: Save:

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রাবাসে কোরপান শাহ নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের মামলায় অভিযুক্ত চার হবু চিকিৎসককে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। পরীক্ষায় বসার জন্য জামিনের আর্জি জানান চার জনই। তবে তা মঞ্জুর হয়নি।

জাভেদ আখতার, অনুরাগ সরকার, ইউসুফ জামাল ও অরিজিৎ মণ্ডল নামে ওই চার অভিযুক্তকে সোমবার শিয়ালদহ আদালতের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে তোলা হয়। জাভেদ, অনুরাগ ও অরিজিৎ নীলরতনের তৃতীয় বর্ষের এবং ইউসুফ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এ দিন আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, আজ, মঙ্গলবার ওঁদের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। জামিন না-পেলে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।

জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী জানান, ধৃতদের জেরা করে বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার হয়েছে। আরও কয়েকটি জিনিস উদ্ধারের কাজ বাকি আছে। তদন্ত শেষ হয়নি। ধৃতেরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। প্রভাব খাটিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন অভিযুক্তেরা। তাই তাঁদের হাজতেই রাখা হোক। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে ধৃতদের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ এ দিন আদালতে জানায়, ধৃতদের সকলকেই মুখ ঢেকে আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। আদালত থেকে বারও করা হচ্ছে মুখ ঢেকে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা অনুমান করছেন, পুলিশ খুব শীঘ্রই ধৃতদের ‘টেস্ট আইডেনটিফিকেশন প্যারেড’ (টিআই) বা শনাক্তকরণ প্যারেডে হাজির করাবে।

১৬ নভেম্বর ভোরে নীলরতনের ছাত্রাবাস থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক কোরপানকে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চোর সন্দেহে ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। কোরপান-হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ পাঁচ ছাত্র-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে জসিমুদ্দিন নামে ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রও রয়েছেন। সেই ছাত্র জেলে বসে ডাক্তারি পরীক্ষা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে আদালত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE