টানা প্রেম প্রস্তাবে বিরক্ত হয়ে ফল কাটার ছুরি দিয়ে এক যুবকের মুখে খুঁচিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিশোরীর বিরুদ্ধে। বছর সতেরোর মেয়েটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
প্রেমে সাড়া না পেয়ে মেয়েদের মুখে অ্যাসি়ড ছোড়া বা ছুরি মারার ‘বীরত্ব’ পুরুষদের প্রায় একচেটিয়া। প্রেমের ঘ্যানঘ্যান শুনে খেপে উঠে কোনও মেয়ে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছে, এমন ঘটনা প্রায় শোনাই যায় না।
বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় নলডুগারি এলাকায় হঠাৎ এমনটাই ঘটে যায় বলে অভিযোগ। ছেলেটি বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মেয়েটি পড়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে। বাড়ি কাছেই পারমাদন এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরে ছাত্রীটিকে রাস্তায়-ঘাটে বারবার প্রেম নিবেদন করছিল ছাত্রটি। মেয়েটি তাতে আমল না দিলেও, এমনকী বিরক্তি প্রকাশ করলেও সে দমেনি। মেয়েটির পরিবার থেকে ছেলেটির বাড়িতেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, সম্প্রতি এক গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় মেয়েটি বেশি চাপে পড়ে যায়। কলেজ ছাত্রটির জন্য দু’জনের ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যায়। শিক্ষক জানান, তাকে আর পড়াবেন না। ফিরে এসে বাড়িতে সব জানিয়ে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেটির বাড়ির কাছে যায় কিশোরী। বান্ধবীই ছেলেটিকে বাড়ি থেকে ডেকে দিয়ে চলে যায়। একটু বাদেই কিশোরী ও যুবকটির কথা কাটাকাটি চরমে ওঠে। তখনই মেয়েটি ব্যাগ থেকে ফল কাটার ছুরি বের করে যুবকটির মুখে পরপর কয়েকটি কোপ মেরে চলে যায় বলে অভিযোগ।
ছেলেটির চিৎকারে এক প্রতিবেশী মহিলা ছুটে আসেন। তিনিই ছেলেটির বাড়ির লোককে খবর দেন। তাকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। কোপ খেয়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় তার মাথায় চোট লেগেছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। তার পরিবার মেয়েটির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে। মেয়েটির পরিবারও তাকে উত্ত্যক্ত করার পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে। ছাত্রটির বাড়ির লোকজন সেই অভিযোগ মানতে চাননি। রাতেই কিশোরীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সল্টলেকের জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy