জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করেছে ইডি। এই নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রশ্ন করা হলে বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের নেতা?” এর পাশাপাশি রেশন বণ্টন মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় (যিনি ‘বালু’ নামে সমধিক পরিচিত) ফের দাবি করলেন যে, তিনি নির্দোষ। ১৩ তারিখ তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়।
বুধবার সকালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য ইডি দফতর থেকে বার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। সিজিও থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার আগে তাঁকে ইডির অভিষেককে ফের তলব করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে বনমন্ত্রী বলেন, “কোন বন্দ্যোপাধ্যায়” তার পরই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন করেন জ্যোতিপ্রিয়। বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের নেতা?” তার পর একটু থেমে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “আপনাদের একটা কথা বলি শুনুন। আমি সমস্ত ব্যাপারে নির্দোষ, এটা জেনে নিন। ১৩ তারিখ আমাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। সেখানে বুঝতে পারবেন আমি অত্যন্ত ক্লিয়ার।”
এর আগে সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ঢোকার আগে জ্যোতিপ্রিয় বলেছিলেন, “আমি মুক্ত। আমি মুক্ত। ইডি বুঝতে পেরেছে যে, আমি মুক্ত।” সোমবার সকালেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মন্ত্রী বলেছিলেন, “এরা যা করেছে, অন্যায়, অনৈতিক কাজ করেছে।” এর পাশাপাশি আদালতের উপর ভরসা রাখার ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কোর্ট নিশ্চয়ই বিচার করবে।” তবে কে বা কারা ‘অন্যায়’ কিংবা ‘অনৈতিক’ কাজ করেছে, জ্যোতিপ্রিয়ের সোমবারের কথায় তা স্পষ্ট হয়নি। জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তিনি ‘অসুস্থ’।
তারও আগে গত শুক্রবার বালু বলেন, “আমি চক্রান্তের শিকার। বিজেপি আমায় ফাঁসিয়েছে। মমতাদি-অভিষেক সব জানে।” তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।” খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন বলেও দাবি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। নিজেকে ‘মুক্ত’ বলে দাবি করার পর জ্যোতিপ্রিয়কে খাপছাড়া ভাবে বলতে শোনা যায়, “আর চার দিন পর...।” এই মন্তব্যটি সম্পূর্ণ না করেই গাড়িতে উঠে যান তিনি।
জ্যোতিপ্রিয়ের ‘দিন চারেক পরেই সবাই সব কিছু জানতে পারবেন’ মন্তব্যের ভিত্তিতে মন্ত্রী আদালতে ‘বোমা ফাটাতে পারেন’ বলে জল্পনা শুরু হয়। বাস্তবে অবশ্য ওই দিন এজলাসে কার্যত নীরবই থাকেন জ্যোতিপ্রিয়। সোমবার রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় বালুকে আবার সাত দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। আপাতত ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বালু হাত নেড়ে বলেন, ‘‘সাত দিন পর আবার আসছি। সাত দিন, সাত দিন।’’
অন্য দিকে, পুজো শেষ হতে না হতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইডি দফতরে যাবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তেই অভিষেককে ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ইডি-তলব নিয়েই বুধবার জ্যোতিপ্রিয়কে প্রশ্ন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy