—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাহুল গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র, কেরলের ওয়েনাড়ে গুলির লড়াই চলল পুলিশ এবং ‘মাওবাদী’দের মধ্যে। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই লড়াই চলে বুধবার সকাল পর্যন্ত। কেরলের সংবাদপত্র ‘মালয়লাম মনোরমা’ পুলিশের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গুলির লড়াই শেষে দু’জন ‘মাওবাদী’কে আটক করেছে পুলিশ। আরও দু’জন পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
পুলিশের ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর এসেছিল যে, ওয়েনাড় জেলার কিছু অংশে সম্প্রতি সক্রিয়তা বাড়িয়েছিল ‘মাওবাদী’দের একটি দল। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় থালাপ্পুজা অঞ্চলে আসে মাওবাদীদের চার সদস্যের একটি দল। তার পরই ওই এলাকায় বিশেষ অভিযানে নামে কেরল পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং থান্ডারবোল্ট স্কোয়াড। বেশ কিছু সময় ধরে গুলির ল়়ড়াই চলার পরে চান্দ্রু এবং উন্নিমায়া বলে দু’জনকে আটক করা হয়। দলের বাকিরা পালিয়ে যান।
তবে পুলিশ সূত্রেই খবর, বাকি দু’জন গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ওয়েনাড়ের পার্শ্ববর্তী জেলা কোঝিকোড় জেলা থেকে ‘মাওবাদী সমর্থক’ হিসাবে এক জনকে আটক করা হয়। তা ছাড়া সপ্তাহ তিনেক আগে মাওবাদীদের সশস্ত্র একটি দল একটি রিসর্টে হানা দিয়ে মালিকের ফোন ছিনিয়ে নেয়। সেখান থেকে তারা বার্তা পাঠায় সিপিআই (মাওবাদী)-র কাবানি এরিয়া কমিটিকে। এই ‘মাওবাদী’ সক্রিয়তার খবর পেয়েই ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy