লাগাম পরানো নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। তবে কী ধরনের লাগাম পরানো হবে, তা নিয়েই একমত হওয়া যাচ্ছে না। ফলে, বেপরোয়া গতি কমছে না গাড়ির। বিরাম নেই দুর্ঘটনারও।
পথ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ, গাড়ির বেপরোয়া গতি। সেই গতিকে নির্দিষ্ট সীমায় বাঁধতে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এক বছরের বেশি আগে। কিন্তু গতিতে লাগাম দিতে প্রয়োজন যন্ত্রের, যার নাম স্পিড গভর্নর। কোন সংস্থার স্পিড গভর্নর বসানো হবে, তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু গাড়িতে স্পিড গভর্নর না বসলে সেই স্লোগান কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা সংশয়ে।
কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালে মোটর ভেহিকেলস আইনে সংশোধন আনে। তার ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। সে বছরই সুপ্রিম কোর্ট সব ক’টি রাজ্যকে দ্রুত এই নিয়ম চালুর নির্দেশ দেয়। ২০১৬-র জানুয়ারিতে জারি হওয়া রাজ্য পরিবহণ দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেসরকারি ও সরকারি বাস-মিনিবাস, ট্যাক্সি, ছোট বাস, লাক্সারি ট্যাক্সি বা ম্যাক্সি ক্যাবের মতো গাড়িগুলি সর্বোচ্চ প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। আর ডাম্পার, ট্যাঙ্কার, স্কুল বাস বা বিপজ্জনক সামগ্রী-সহ পণ্যবাহী ট্রাক ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারবে না। লাগামের বাইরে ছিল অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকলের মতো জরুরি পরিষেবা ও পুলিশের গাড়িকে।
কিন্তু এখনও গাড়ির গতিতে পরিবহণ দফতর লাগাম দিতে পারেনি। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সরকারি অফিসাররা ভাগ হয়ে গিয়েছেন। এক পক্ষের বক্তব্য, যে কোনও সংস্থার যন্ত্র বসানোর অনুমতি দিলে মান বজায় থাকবে না। তাঁদের মতে, ভাল মানের স্পিড গভর্নরগুলির একটা তালিকা করতে হবে। অন্য পক্ষের বক্তব্য, বাণিজ্যিক বা বেসরকারি গাড়িতে কোন সংস্থার স্পিড গভর্নর বসবে, সেটা সরকার ঠিক করে দিতে পারে না। এঁদের মতে, বাজারে বহু সংস্থা স্পিড গভর্নর বানায়। গাড়ির গতিবেগ নির্দিষ্ট মাত্রার উপরে না গেলেই হল।
এই টানাপড়েনে যন্ত্র বসানোর কাজটা কবে হবে, তা বলতে পারছেন না পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy