অনুব্রত মণ্ডলের জেলাতে এ ভাবেও ভোট করা যায়!
নলহাটি রণক্ষেত্র, অশান্তি হচ্ছে সিউড়ি থেকে রামপুরহাটে, সেখানে বীরভূমেরই রাজনগর যেন মরূদ্যান। মনোনয়ন নিয়ে অশান্তি এড়ানোয় ব্যতিক্রমের তালিকায় নাম থাকবে নদিয়া জেলার নবদ্বীপেরও।
বীরভূমে প্রায় প্রতিটি ব্লকে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিনা বাধায় রাজনগরের পাঁচটি পঞ্চায়েতের ৫৫টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে বিজেপি, বামেরা দিয়েছেন ছ’টিতে। তৃণমূলের মনোনয়ন ২৬টি। পঞ্চায়েত সমিতির ১৩টি আসনের মধ্যে ১২টিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপি, সিপিএম চারটি এবং তৃণমূল দু’টিতে।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বক্তব্য, ‘‘শাসক দলের কাছে জেলার সর্বত্র শুধু এখানকার মতো সৌজন্যই আশা করেছিলাম।’’ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য অরুণ সাধুও বলেন, ‘‘ যা পরিস্থিতি, তাতে এখানে এমন পরিবেশ থাকা সাধুবাদের যোগ্য।’’ যাঁর দৌলতে এই ‘পরিবেশ’, রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সেই সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা সুকুমার সাধু বলছেন, ‘‘বাধা দেব কেন! প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে গত পাঁচ বছরে। তাই ভোটে জিতে আসতে চাই। ’’ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও এ দিন বলেন, ‘‘বাধা তো কোথাও দেওয়া হয়নি। সব অপপ্রচার চলছে। রাজনগরে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিলে, দেবেন।’’
উন্নয়নই দেখিয়ে দেবে কারা শক্তিমান—এমনই তত্ত্বে তাঁর ভরসা বলে দাবি নবদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহারও। বলেছেন, ‘‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যুদ্ধ হবে ভোট-বাক্সে, রাস্তায় নয়। তাই ওখানে কেউ বিরোধীদের বাধা দিচ্ছে না।’’ এ দিন মহেশগঞ্জে নবদ্বীপ ব্লক অফিসে শাসক দলের পাশাপাশি মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিরোধীরা। কিন্তু উত্তেজনা ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy