সম্প্রীতি মিছিলে কবি শঙ্খ ঘোষ। ছবি রণজিৎ নন্দী।
পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। উদ্দেশ্যে ছিল, পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রীতি রক্ষা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার পথে নামলেন সমাজের বহু বিশিষ্ট মানুষ। ছিলেন সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক নেতারাও।
এ দিন মিছিলে হেঁটেছেন কবি শঙ্খ ঘোষ, পরিচালক তরুণ মজুমদার থেকে শুরু করে পবিত্র সরকার, চন্দন সেন, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মেঘনাথ ভট্টাচার্য, অনীক দত্তরা। মিছিল হল ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। মিছিল থেকে দাবি উঠল রাজ্যে সম্প্রীতি রক্ষার।
উদ্যোক্তাদের দাবি, রামনবমীকে ঘিরে রাজ্যে একটা উন্মত্ততার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিংসা ছড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই রকম পরিস্থিতি বাংলায় দেখা যায়নি। শাসক দলের নেতারাও যে ভাবে রামনবমী পালনে অংশগ্রহণ করেছেন, তা দেখেও আশঙ্কিত রাজ্যের বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষা করার জন্য পথে নামা—দাবি বিশিষ্টজনেদের। নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের কথায়, ‘‘আমাদের বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে সহাবস্থানের। কিন্তু, বর্তমানে রাজ্যে সেই পরিবেশ আর নেই। গোলমাল হচ্ছে রাজ্যের সর্বত্র।’’ নাট্যব্যক্তিত্ব মেঘনাথ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘ধর্ম নিয়ে এত বাড়াবাড়ি আগে এ রাজ্যে কখনও হয়নি। ভয়ঙ্কর ব্যাপার। লোকজনকে সচেতন করার জন্যই এই মিছিল। অতীতে বাংলা সব সময়েই সহাবস্থানে চলেছে।’’
মিছিলে পা মেলাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সমাজের সব স্তরের বিশিষ্ট জনেদের। তাই এ দিনের মিছিলে কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানার-পতাকা ছিল না।
আরও পড়ুন: হামলা-হাঙ্গামা চলছেই, বোমা পড়ল সিপিএমের পার্টি অফিসে
যদিও, এ দিনের মিছিলে বিশিষ্ট জন, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পা মেলাতে দেখা গেল বাম নেতাদেরও। হাঁটলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, বিকাশ ভট্টাচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তীর মতো নেতারা। শাসক বিরোধী কথাও শোনা গেল তাঁদের মুখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy