কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের আর্জি এখনই শুনানির দাবি খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আজ জানিয়ে দিল, এ বিষয়ে শুনানি হবে এখন থেকে আড়াই মাস পরে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে।
১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে। বৃহস্পতিবারই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই ধর্মঘট ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। আইনজীবীদের মূল ক্ষোভ, কলকাতা হাইকোর্টে ৭২ জন বিচারপতির পদ থাকলেও বিচারপতি রয়েছেন মাত্র ৩৩ জন। তার মধ্যে আবার দু’জন বিচারপতিকে পোর্ট ব্লেয়ারের সার্কিট বেঞ্চে কাজ করতে হয়। ফলে বাস্তবে মাত্র ৩১ জন বিচারপতিকে পুরো দায়িত্ব সামলাতে হয়।
এই প্রেক্ষিতেই এক জোড়া মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আইনজীবী শুভাশিস ভৌমিকের দায়ের করা মামলায় প্রধান দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সমস্ত শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ দেওয়া হোক। কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হোক, কেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রায় অর্ধেক পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। একই বিষয়ে আরেকটি মামলা করেছিলেন ইউথ বার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ও তার সভাপতি, উত্তরাখণ্ডের আইনজীবী সনপ্রিত সিংহ আজমানি। শূন্য পদ পূরণের পাশাপাশি তাঁদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সংগঠনগুলিকে অবিলম্বে ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে বলা হোক। ভবিষ্যতে এই ধরনের ধর্মঘটের উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হোক। কলকাতা হাইকোর্টের অচলাবস্থা নিয়ে উত্তরাখণ্ডের আইনজীবীদের হঠাৎ মাথা ব্যথা কেন, সেই প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মেলেনি।
প্রধান বিচারপতি অবশ্য মামলা ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে এখনই শুনানি হবে না। আইনজীবীরা তাঁর সামনে হাইকোর্টের অচলাবস্থার উল্লেখ করতে গেলেও তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর সবই জানা। কিন্তু শুনানি হবে জুলাইয়েই, সুপ্রিম কোর্টে গরমের ছুটির পরে।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকও এ বিষয়ে ‘ধীরে চলা’র পথ নিয়েছে। মন্ত্রকের নীতি, আইনজীবীদের কর্মবিরতি চললেও বিচারপতি পদে যে সব নামের সুপারিশ করা হচ্ছে, তাতে চোখ বন্ধ করে সিলমোহর বসানো হবে না। অবসরের ফলে পদ খালি হওয়ার ছ’মাস আগে থেকেই তা পূরণের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল। তা কলেজিয়ামের তরফ থেকে করা হয়নি। এখন যে সব নামের সুপারিশ আসছে, তা ‘যথাযথ ভাবে সব দিক’ খতিয়ে দেখেই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy