Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
State News

অস্ত্র পাচারে গ্রেফতার আরও ১

পুলিশ জানায়, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে বেআইনি ভাবে অস্ত্র পাচার করা হত বাইরে। পরে তা পৌঁছত মাওবাদীদের হাতে। এমনই তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০১:৪৮
Share: Save:

ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্র পাচারের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

বিহার শরিফ থেকে রাজেশ কুমার ওরফে মুন্না নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। সোমবার তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে বেআইনি ভাবে অস্ত্র পাচার করা হত বাইরে। পরে তা পৌঁছত মাওবাদীদের হাতে। এমনই তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

কিন্তু কার হাত ধরে মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র পৌঁছত? ওই কারখানার ধৃত কর্মীদের জেরা করতে করতেই মুন্নার নাম পান তদন্তকারীরা। এই মুন্না গুড্ডু পণ্ডিতের ঘনিষ্ঠ বলেই জেনেছে পুলিশ। গত রবিবার বাবুঘাট থেকে গুড্ডু পণ্ডিত, জয়শঙ্কর পাণ্ডে, উমেশ রায়, কার্তিক সাউকে গ্রেফতারের পরে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে ফের অস্ত্র পাচারের ঘটনা সামনে আসে। ধৃতদের কাছে মেলে সাতটি রিভলভার, কার্বাইন জাতীয় অস্ত্র-সহ খালি ম্যাগাজিনও। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, বাজেয়াপ্ত করা রিভলভারগুলি পুলিশকর্মীরা ব্যবহার করেন। সেগুলি পাচার হয়ে কোথায় পৌঁছত, তা জানতে শুরু হয় তদন্ত। এর পরেই ধরা পড়ে কারখানার জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার সুখদা মুর্মু ও সুশান্ত বসু। পরে ধরা পড়ে কারখানার জঞ্জাল সাফাইয়ের ঠিকাদার কার্তিক সাউ ও উমেশ রায়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে অজয়কুমার পাণ্ডে ওরফে গুড্ডু পণ্ডিত এই চক্রের মূল পাণ্ডা। পরে সে-ও ধরা পড়ে।

পুলিশ জানতে পারে, অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গুড্ডু আগে বিহারে গ্রেফতার হয়েছিল। তার মাধ্যমেই বিহারের বাহুবলী ও মাওবাদীদের কাছে পৌঁছত বলেও জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু মাওবাদী ও গুড্ডুর মাঝেও অন্য কেউ কাজ করে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। এর পরেই উঠে আসে মুন্নার নাম।

অন্য বিষয়গুলি:

Rifle Factory Ishapore Arms Trafficking
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE