—প্রতীকী ছবি।
রেলে সাধারণ যাত্রীদের স্বার্থ উপেক্ষিত। বিরোধীদের এমন অভিযোগের জবাব দিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে চলতি মাসেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নন-এসি সংস্করণ চালু করতে চলেছে রেল।
‘অমৃত ভারত’ ট্রেন হিসেবে ওই বিশেষ ট্রেনগুলি চালাবে রেল। প্রথম পর্যায়ে ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একাধিক ‘অমৃত ভারত’-এর ভিডিয়ো মাধ্যমে উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ রাজ্য মালদহ এবং বেঙ্গালুরুর মধ্যে প্রথম ‘অমৃত ভারত’ ট্রেন পেতে চলেছে বলে রেল সূত্রের খবর। এই বরাতকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগানো হতে পারে বলেও রেল কর্তাদের একাংশের মত।
জীবিকা, ব্যবসা-সহ নানা কাজে সাধারণ যাত্রী ছাড়াও সারা বছর ধরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতায়াত করেন এমন রুটগুলিতে মূলত ওই ট্রেন চালুর কথা ভাবা হয়েছে। ন্যূনতম ৮০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্বে এবং দিনরাতের সফরের কথা মাথায় রেখে ওই ট্রেনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, ২২ কোচের ওই নতুন ট্রেনে ১৮০০ যাত্রী এক বারে সফর করতে পারবেন । পুশ-পুল প্রযুক্তির ওই ট্রেনের দু’প্রান্তে ডব্লিউ এপি-৫ শ্রেণির দু’টি ইঞ্জিন থাকছে। ফলে যাত্রাশুরুর পরে মাঝপথে ইঞ্জিন যুক্ত বা বিচ্ছিন্ন করতে সময় নষ্ট হবে না। ডব্লিউ এপি-৫ শ্রেণির বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন ভারতীয় রেলের আধুনিক প্রযুক্তির দ্রুতগামী লোকোমোটিভ হিসেবে গণ্য হয়। ওই ইঞ্জিনে আধুনিক রিজেনারেটিভ ব্রেকিং প্রযুক্তি রয়েছে। গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার। আলাদা জেনারেটর কার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য-সহ ওই ইঞ্জিন ‘অমৃত ভারত’ ট্রেনে ব্যবহার হচ্ছে। ২২ কোচের ট্রেনের ১২টি নন-এসি স্লিপার, আটটি সাধারণ (জেনারেল) কামরা ও দু’টি লাগেজ ভ্যান থাকবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো ওই ট্রেনের কামরায় স্বয়ংক্রিয় দরজা থাকবে না। তবে প্রশস্ত এবং স্থায়ী সিল-করা ভেস্টিবিউল থাকবে। প্রত্যেক কামরায় সিসি ক্যামেরা, এলইডি আলো, মোবাইল চার্জার, আধুনিক পাখা থাকবে। বেসিনে সেন্সর নিয়ন্ত্রিত জলের কল ছাড়াও ভ্যাকুয়াম বায়ো-টয়লেট থাকবে। আধুনিক প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম থাকবে স্টেশন ও গন্তব্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে।
গত অক্টোবরে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া প্রথম ট্রেনটি মুম্বইতে মহড়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মুম্বই-নাসিক শাখায় চড়াই রেল লাইনে ট্রেনটিকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পরে পরীক্ষিত ওই ট্রেনটি পূর্ব রেলে এসে পৌঁছেছে। হাওড়া লোকো-শেডে ওই ট্রেনের দু’প্রান্তের ইঞ্জিন প্রয়োজনীয় কিছু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এনে রাখা হয়েছে। রেক রয়েছে মালদহ ডিভিশনে। পরে আরও রুটে ওই ট্রেন চালানোর ভাবনা রেলের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy