সূচনা: লিলুয়া হোমের জলাশয়ে মাছ ছাড়ছেন চন্দ্রনাথ সিংহ এবং শশী পাঁজা। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি হোমের মহিলা আবাসিকেরা এত দিন বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজের প্রশিক্ষণ পেতেন। এ বার হোমেরই জলাশয়ে তাঁদের মাছ চাষ শেখাবে রাজ্য সরকার। সোমবার সেই প্রকল্পের সূচনা হলো লিলুয়া হোমে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য প্রধানত তিনটি। প্রথমত, হোমের বাসিন্দাদের নতুন একটা কাজের সুযোগ দেওয়া। দ্বিতীয়ত, হোমের জলাশয়ে বেড়ে ওঠা মাছ সেখানকার বাসিন্দাদের পাতে দেওয়া। তৃতীয়ত, হোমের তহবিলে কিছু অর্থের সংস্থান করা। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘রাজ্যে এই প্রথম কোনও সরকারি হোমে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হলো। শীঘ্রই আরও চারটি হোমে এই প্রকল্প চালু করা হবে।’’ নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই প্রকল্পে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে মৎস্য দফতর। এ দিন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা ও মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবুর উপস্থিতিতে লিলুয়া হোমের ভিতরকার জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল মিলিয়ে প্রায় এক কুইন্টাল মাছের চারা ছাড়া হয়।
লিলুয়া হোমের পর্যবেক্ষক তথা বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানান, হোমে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০০ মহিলা আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ পোশাক তৈরির কাজ শিখছেন। কেউ বা পড়ছেন বিউটিশিয়ান কোর্স। এ ছাড়াও স্বনির্ভর হওয়ার জন্য অন্যান্য কাজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অনেকেই। আবাসিকদের মধ্যে যাঁদের প্রাণী পালন ও মাছ চাষে উৎসাহ আছে, নতুন প্রকল্পে তাঁরাই প্রশিক্ষণ পাবেন।
ওই বিধায়ক জানান, হোমের ভিতরের বড় জলাশয়টি কচুরি পানায় ভরে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেটি সংস্কার করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত তিন ধরনের মাছের চারা ছাড়া হলো। কী ভাবে চারাগুলিকে খাবার দিতে হবে, কেমন করে তাদের প্রতিপালন করতে হবে— সব কিছুরই প্রশিক্ষণ দেবে মৎস্য দফতর। মাছ বড় হলে ওই দফতর থেকেই লোক এসে সেই মাছ ধরে তার একটা অংশ দেবে হোমের আবাসিকদের খাবারের জন্য। বাকিটা প্যাকেটজাত করে বাজারে বেচতে সহযোগিতা করবে মৎস্য দফতর।
‘‘ওই জলাশয়ের মাছ বিক্রি করে যা আয় হবে, তা হোমের তহবিলে জমা দিয়ে উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে,’’ বললেন বৈশালীদেবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy