—প্রতীকী ছবি।
অ্যাকোয়ারিয়ামে রঙিন মাছ পোষা যায়। সেটা শখের ব্যাপার। তাতে রসনা তৃপ্ত হয় না। মৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, জ্যান্ত রুই-কাতলা-পাবদা বা কই, শিঙি, মাগুরের মতো জিয়ল মাছ চাইলে কংক্রিটের পাকা ট্যাঙ্কেই চাষ করা যেতে পারে। প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। তাতে লাভ দু’দিক থেকে। ভিন্ রাজ্য থেকে আনা রুই-কাতলা পাতে দিতে হবে না। সেই সঙ্গে রাজ্যে মাছের ঘাটতি পূরণ করা যাবে অনেকাংশেই।
বাংলাদেশে কংক্রিটের ট্যাঙ্কে শিঙি-মাগুরের চাষ শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। ২০১৬ সালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কংক্রিটের ঘেরা জায়গায় (চৌকো বা গোলাকৃতি) পরিস্রুত জল ধরে, কৃত্রিম খাবার দিয়ে কয়েক ধরনের মাছের চাষ শুরু হয়। সম্ভাবনা দেখে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ধরনের মাছ চাষে উৎসাহ দিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য দফতর। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকও এই ধরনের প্রকল্পে আর্থিক ভর্তুকি দিতে শুরু করছে। প্রয়োজনে রাজ্যগুলিকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে হায়দরাবাদের জাতীয় মৎস্য উন্নয়ন পর্ষদ। ‘‘এই পদ্ধতিতে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় ট্যাঙ্কের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে শিঙি, মাগুরের মতো মাছের চাষ শুরু হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে আমরা এই ধরনের মাছ চাষে উৎসাহ দিতে শুরু করেছি। প্রয়োজনে দফতরের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্যও করা হবে,’’ বলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ প্রতিটি রাজ্যেই নগরায়ণের প্রয়োজনে পুকুর, ডোবা, খালবিলের সংখ্যা কমছে। মজে গিয়েছে বহু ছোট নদীও। প্রাকৃতিক নিয়মেই কই, দেশি মাগুর, শিঙির মতো মাছ এক সময় খালবিলে প্রচুর পরিমাণে জন্মাত। কিন্তু এখন তার আকাল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ‘রি-সার্কুলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেম’-এ জলাধারে শিঙি, মাগুর, রুই-কাতলার বাচ্চা ছেড়ে অনেক কম জলে অনায়াসে বেশি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy