প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল জমানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে বারবার সরব হচ্ছে বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা ওয়েবকুটা। এ বার তাদের অভ্যন্তরীণ সম্মেলনেই সদস্যদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সংগঠনের নেতৃত্বকে।
রবিবার মহাজাতি সদনে ওয়েবকুটা-র ৯১তম বার্ষিক সম্মেলনে কিছু সদস্য অভিযোগ করেন, বাম আমলেও তো সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে। তখন যে-বিশ্ববিদ্যালয় আইন তৈরি হয়েছিল, তাতেও সরকারকে স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এক সদস্য জানান, স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলে বিগত জমানাকে ভুললে চলবে না।
অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেননি ওয়েবকুটা-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ। তিনি বলেন, ‘‘বাম আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার যে কিছু ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করেনি, তা নয়। হস্তক্ষেপ হয়েছে। কিন্তু এখন যা ঘটছে, তেমনটা কোনও দিন হয়নি।’’
শ্রুতিনাথবাবু জানান, কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত হতে হয়েছিল তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষকে। সেখানে তাঁকে পড়ুয়াদের সামনে কার্যত তিরস্কার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কোনও প্রশাসনিক সভায় গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কখনও জবাবদিহি করতে হয়নি। সেটা এখন হচ্ছে। এটারই বিরোধিতা করা হচ্ছে,’’ বলেন শ্রুতিনাথবাবু।
এ দিন ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষকেরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে-পদ্ধতি ও যে-যুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট দেওয়া হচ্ছে, তার বিরোধিতা করছে ওয়েবকুটা। নজরুল মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কিছু শিক্ষক-নেতা। অতিথি, আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-কাঠামো ঠিক করে দেওয়ার দাবিও ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy