মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র।
ক্লাবগুলোর প্রতি আবার দরাজ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘খেলাশ্রী’ সম্মান জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে সোমবার রাজ্যের প্রায় সাড়ে চার হাজার এমন ক্লাবকে ফের ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিলেন তিনি, যারা আগে কখনও অনুদান পায়নি। অনুদান পেল বেশ কিছু স্পোর্টস কোচিং সেন্টারও। যে সব ক্লাব আগে অনুদান পেয়েছে, সেগুলিকেও ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হল এ দিন। ‘খেল সম্মান’, ‘বাংলার গৌরব’, ‘ক্রীড়া গুরু’, ‘জীবনকৃতি’ এবং ‘বিশেষ সম্মান’ পুরস্কার দেওয়া হল সব মিলিয়ে ৫৬ জনকে।
ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান এই প্রথম বার দেওয়া হল, এমন নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় অনুদান দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলিকে। এ বার লোকসভা নির্বাচনের প্রায় আড়াই মাস দূরে দাঁড়িয়ে আরও এক বার অনেকগুলো ক্লাব মুখ্যমন্ত্রীর অনুগ্রহ পেল। মোট ৪ হাজার ৩০০ ক্লাবকে এ দিন অর্থসাহায্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খেলাধুলোর উন্নতির স্বার্থেই ক্লাবগুলিকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হল বলে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন।
শুধু ক্লাব অবশ্য নয়, এ বার মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান পেল ২২১টি স্পোর্টস কোচিং সেন্টারও। ওই সব কোচিং সেন্টারে যাতে আরও ভাল ভাবে কোচিং দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্যই এই অনুদান বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। কোচিং সেন্টারকে অনুদান দেওয়া এই প্রথম।
আরও পড়ুন: মেধাতালিকা না দিলে জেলে ভরব সচিবকে, এসএসসি মামলায় মন্তব্য ক্ষুব্ধ বিচারপতির
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, যাঁরা এই বার অনুদান পেলেন, তাঁরা আবার পেতে পারেন। এ বারে পাওয়া টাকা কোন কোন খাতে খরচ হল, তার অডিট রিপোর্ট জমা দিতে পারলে সামনের বার আবার এই ক্লাবগুলি ১ লক্ষ টাকা করে পাবে বলে তিনি এ দিন ঘোষণা করেছেন।
‘খেলাশ্রী’র আওতায় এ দিন ‘ক্রীড়া গুরু’ সম্মান দেওয়া হয়েছে ৭ জনকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার রণদেব বসু, আম্পায়ার সুব্রত পোড়েল, প্রাক্তন ফুটবলার দেবজিৎ ঘোষ এবং তুষার রক্ষিত-সহ মোট ১৫ জনকে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান। ‘খেল সম্মান’ পেয়েছেন ২০ জন। তরুণ ক্রিকেটার ঈশান পোড়েল-সহ ১২ জন পেয়েছেন ‘বিশেষ সম্মান’। আর প্রবীণ প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি এবং প্রবীণ প্রাক্তন টেনিস প্লেয়ার জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে ‘জীবনকৃতি’ সম্মান দেওয়া হয়েছে এ দিন।
আরও পড়ুন: বিদেশে পালাতে পারেন কে ডি সিংহ! তৃণমূল সাংসদের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আক্ষেপের সঙ্গে দাবি করেন যে, আগে অনেকেই খেলোয়াড়দের স্পনসর করতে এগিয়ে আসতেন বা ক্লাবগুলোকে সাহায্য করছেন, কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নজরদারির ভয়ে অনেকেই সে সব থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তবে খেলাধুলোর বিকাশ যাতে তাতে থমকে না যায়, রাজ্য সরকার সে দিকে লক্ষ্য রাখবে এবং ক্লাবগুলোকে এবং খেলোয়াড়দেরকে সাহায্য করার কর্মসূচি বহাল থাকবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
খেলাধুলোয় যাঁরা ভাল, রাজ্য সরকার তাঁদের চাকরি দেবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন ঘোষণা করেছেন। জঙ্গলমহল কাপের মতো টুর্নামেন্ট বা রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় স্থানীয় স্তরের নানা খেলার আসরে যাঁরা ভাল ফল করবেন, তাঁদের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy