ফাইল চিত্র।
দেশের শাসন ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ— শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় মমতার সে সমাবেশ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পাল্টা কটাক্ষে দিলীপ ঘোষ। বিজেপিকে তাড়ানোর ডাক দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী দেখুন, তিনি নিজে এ রাজ্যের ক্ষমতায় আর থাকতে পারেন কি না— মন্তব্য রাজ্য বিজেপির সভাপতির।
ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে এ দিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তৃণমূলের সব বিধায়ক যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। মোদীকে উৎখাত করার যে ডাক মমতা দিয়েছেন, তাকে ‘হাস্যকর’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন দিলীপ।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলার বাম বিধায়করা ক্রস ভোটিং করেছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন দাবি করেছিলেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সে দাবি নস্যাৎ করেছেন। তাঁর দাবি, বাম বিধায়করা ক্রস ভোটিং করেননি। দুর্নীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তৃণমূলের কয়েকজন বিধায়কই রামনাথ কোবিন্দকে ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলা থেকে একটা সিটও পেতে দেব না বিজেপিকে: চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। ৯ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন হবে বলে তৃণমূলনেত্রীর ঘোষণা। রাজ্য বিজেপির সভাপতির পাল্টা ঘোষণা, ওই একই দিন থেকে বিজেপিও পাল্টা আন্দোলনের নামছে। ‘টিএমসি তোষণ ছাড়ো’ আন্দোলনে নামবে বিজেপি, জানিয়েছেন দিলীপ।
তৃণমূলের রথী-মহারথীদের নাম যে ভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, তাতে অনেক নেতাই গ্রেফতার হতে পারেন বলে রাজ্য বিজেপি সভাপতির ইঙ্গিত। তাঁর কটাক্ষ, আগামী বছর তৃণমূল আদৌ এ রকম সভা করতে পারবেন কি না, মঞ্চ আলো করে দাঁড়িয়ে থাকার মতো নেতারা জেলের বাইরে থাকবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy