কুন্তল কাঁড়ার এবং বিপ্লব বৈদ্য (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: ফেসবুক।
শৃঙ্গ জয় করে আর বাড়ি ফেরা হল না দুই বাঙালি অভিযাত্রীর। আট হাজার মিটার উপরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানেই তাঁদের ফেলে চলে আসতে হল অন্যদের। উদ্ধারকারী দলও তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। পরে জানা গিয়েছে বিপ্লব বৈদ্য (৪৮) এবং কুন্তল কাঁড়ার (৪৬) নামে দুই বাঙালি অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রমেশ রায় নামে অন্য এক অভিযাত্রী।
বুধবার সকালে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার (৮,৫৮৬ মিটার) শীর্ষের উদ্দেশে ক্যাম্প-৪ থেকে রওনা দেন বাংলার পাঁচ অভিযাত্রী— রুদ্রপ্রসাদ হালদার, বিপ্লব বৈদ্য, রমেশ রায়, কুন্তল কাঁড়ার এবং শেখ সাহাবুদ্দিন। ফেরার সময়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সকলেই। কিন্তু রুদ্রপ্রসাদ, রমেশ এবং সাহাবুদ্দিনকে কাঞ্চনজঙ্ঘার কিছুটা নীচে ক্যাম্প-৪ এ নামিয়ে আনা গেলেও বিপ্লব এবং কুন্তলকে নামানো সম্ভব হয়নি।
অত্যাধিক ঠান্ডা এবং অতি উচ্চতায় অসুস্থতার কারণে বিপ্লব এবং কুন্তলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজনকারী সংস্থা পিক প্রমোশন পাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজার পাসাং শেরপা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ক্যাম্প-৪ এ রয়েছেন রমেশ, রুদ্রপ্রসাদ এবং সাহাবুদ্দিন। তবে রমেশের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি। রমেশ স্নো ব্লাইন্ডনেস-এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
কাঞ্চনজঙ্ঘা রওনা দেওয়ার আগে ফেসবুকে এই পোস্টটি করেছিলেন কুন্তল
আরও পড়ুন: মূর্তির মানহানিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন ‘মূর্তি ম্যান’
কুন্তল হাওড়া এবং বিপ্লব কলকাতার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। রাজ্যের পর্বতারোহী সংগঠনগুলির তরফে জানা গিয়েছে, ফেরার পথেই হাই অল্টিটুড পালমোনারি ইডিমা-তে আক্রান্ত হন তাঁরা। প্রথমে তাঁদের সঙ্গে থাকা-সহ অভিযাত্রী এবং শেরপারা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু দু’জনেরই শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে আট হাজার মিটার উপরেই তাঁদের রেখে আসতে হয়।
রমেশ রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy