অন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে আগেই। এ বার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত পার্শ্ব শিক্ষকদের দূরশিক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘১৮ এপ্রিল এই বিষয়ে পর্ষদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ায় ৪৮ হাজারেরও বেশি পার্শ্ব শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
পর্ষদ সূত্রের খবর, ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনে উল্লেখ রয়েছে সব শিক্ষককেই প্রশিক্ষিত হতে হবে। কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না-থাকলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নিদানও রয়েছে ওই আইনে। কিন্তু এই রাজ্যে কর্মরত শিক্ষকদের অধিকাংশেরই প্রশিক্ষণ ছিল না। ধাপে ধাপে পূর্ণ সময়ের প্রায় এক লক্ষ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বাদ পড়ে যান পার্শ্ব শিক্ষকেরা। তাঁদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি তুলে একাধিক বার আন্দোলন করেছেন পার্শ্ব শিক্ষকেরা। এ বার সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে বলে জানান মানিকবাবু।
প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে কর্মরত পার্শ্ব শিক্ষকদের দু’বছরের জন্য ডিপ্লোমা-ইন-এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পর্ষদ-সভাপতি জানান, পুরো প্রক্রিয়াটিই চলবে অনলাইনে। কে কোন জেলার কোন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে চান, সেটা বেছে নেওয়ার জন্য বিকল্পও দেওয়া থাকবে। দু’বছরে মাথাপিছু প্রার্থীর খরচ হবে ১২ হাজার টাকা। তার পুরোটাই সরকার ব হন করবে বলে জানান স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)–এর তরফ থেকে প্রশিক্ষিতদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে স্নাতক যোগ্যতার পার্শ্ব শিক্ষকেরা স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসি)-এর মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাও দিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy