পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও অশান্তি অব্যাহত। রবিবার রাতে বীরভূমে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। বোমার ঘায়ে জখম হল এক বালক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাইকর থানার কুতুবপুর গ্রামে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময়ই বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। জখম হয়েছেন তৃণমূলের তিন সমর্থকও। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পাইকর থানার পুলিশ। গ্রামে চলছে পুলিশের টহল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোট নিয়ে প্রথমে বচসায় জড়ান তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সমর্থকরা। সেই বচসা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। তার পরই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময়ই বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ওই এলাকাতেই সেই সময় তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে ছিল বালকটি। বোমার ঘায়ে সে জখম হয়। তাকে পাইকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
শনিবার ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রাণহানি,রক্তপাত, বোমাবাজি, সংঘর্ষে তপ্ত বাংলা। ভোটের দিন রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোট মেটার পরও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। ব্যালট বাক্স লুট, তাতে জল ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। আবার কোথাও ব্যালট বাক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বহু বুথে ছাপ্পা ভোটেরও অভিযোগ করা হয়েছে। ভোটের দিন বীরভূমে প্রাণহানি হয়নি। তবে ভোট ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। ভোটের পরের দিন বীরভূমে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন:
সোমবার রাজ্যের ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন। তার মধ্যে বীরভূমে ১৪টি বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যেই বীরভূমে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার শশীপুর এলাকাতেও অশান্তি ছড়িয়েছে। তৃণমূল এবং সিপিএমের বচসার জেরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ এবং রানিনগরেও।