Advertisement
E-Paper

‘সবাই গায়ের উপর উঠে পড়ে, নাকের ফুটোয় মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যস’, হঠাৎ বড় ঘোষণা স্বস্তিকার

স্বস্তিকা স্পষ্ট লিখলেন, “আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের উপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব।”

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৩০
Share
Save

বৃহস্পতিবার সকালে পহেলগাঁও নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। রাত হতেই বড় ঘোষণা করলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা গুণে শেষ করা যায় না। তাই কোনও ছবির প্রদর্শনে গেলেই তাঁর চার পাশে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। এই নিয়েই বিরক্ত স্বস্তিকা। জানিয়ে দিলেন, আর কোনও ছবির প্রদর্শনেই যাবেন না। স্পষ্ট লিখলেন, “আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের উপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব।”

কিন্তু কেন অভিনেত্রী এত বিরক্ত? সেই ঘটনা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। স্বস্তিকা লিখেছেন, “আমি এখন থেকে আর কোনও ছবির প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের ছবিরও না। অন্যের ছবিরও না। এমনিও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের।” এই ঘোষণা করেই এমন সিদ্ধান্তের কারণগুলি এক এক করে তুলে ধরেন স্বস্তিকা।

ছবির প্রদর্শনে তারকাদের ভিড়ের ভিডিয়ো দেখে দর্শকরা ছবি দেখতে যান না। বরং ছবির ঝলক, পোস্টার ও কলাকুশলী দেখেই ছবি দেখতে যান দর্শক। মত স্বস্তিকার। তিনি আরও বলেন, “অর্ধেক সময়েই ক্রিউ সদস্যদের ডাকা হয় না। যে প্রোডাকশন দাদারা মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরল, গরমের দিনে গ্লুকোজ়। গুলে নিয়ে এল, তাদেরকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির বিশেষ প্রদর্শনে গিয়েছি। ‘টগরি’ দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কলাকুশলীকেই কেই ডাকা হয়েছিল।”

বিরক্তি প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, “শুধু দেখনদারিতে এসে ঠেকেছে সব। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে নাহয় টিকিট কেটে দেখে নেব।”

এই বিবৃতির পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। স্বস্তিকা লেখেন, “সবার হাতে ফোন। সমস্ত কিছু ওই ফোনেই তোলা হচ্ছে। কে আসলে সংবাদমাধ্যম, আর কে নেটপ্রভাবী, ভ্লগার বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদের কে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হব জানি না। হঠাৎ করে এই শহরে সবাই ছবিশিকারি। আর কোনও নিয়ম নেই, কোনও নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে চিত্রগ্রাহকেরা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের উপর উঠে পড়ে। পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যস! আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তা ঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পিছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয় (কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই) তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভাল।”

Swastika Mukherjee Tollywood

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}