বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দু’দিনে দলীয় বিধায়কদের জন্য ব্যতিক্রমী ‘তিন লাইন হুইপ’ জারি করল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের সব বিধায়কের কাছে সোমবার এই নির্দেশ পৌঁছেছে। পরিষদীয় রাজনীতিতে সর্বোচ্চ জরুরি নির্দেশিকা হিসেবে এই ‘হুইপ’ জারি হয়। শাসক দল এ বার কেন এমন হুইপ দিয়েছে, তার কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
বিধানসভা বা সংসদের দুই কক্ষেই দলের সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এক, দুই ও তিন লাইনের তিন রকম নির্দেশ দেওয়ার রীতি আছে। কোন মাত্রার নির্দেশ দেওয়া হবে, তা বিষয়টি কতটা জরুরি, তার উপরে নির্ভর করে। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বার এই তিন লাইনের হুইপ দেওয়া হল। এই মাত্রার নির্দেশে কেউ ‘সন্তোষজনক’ কারণ না-দেখিয়ে অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজ হতে পারে। তাই অধিবেশনের কার্যসূচিতে তেমন চূড়ান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয় না থাকা সত্ত্বেও এই হুইপ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিধানসভার বর্ধিত বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা আগামী ২০ মার্চ। যদিও ১৯ তারিখ বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠক ডাকা রয়েছে। অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে, ১৯ তারিখে স্বাস্থ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা। পর দিন অর্থ বিল পাশের কথা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভোটাভুটির প্রস্তুতি হিসেবে এই নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। তা ছাড়া, শিক্ষা দফতরের একটি বিলও আসতে পারে। তবে তার জন্য এই ধরনের ‘হুইপে’র প্রয়োজন নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)