নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের (অরেঞ্জ লাইন) বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশনে ই এম বাইপাসের উপরে তৈরি হবে ফুট ওভারব্রিজ। তার জন্য ই এম বাইপাসের পথ-বিভাজিকায় নির্মাণ করতে হবে ফুট ওভারব্রিজের স্তম্ভ। এই কাজের জন্য যানজটের কবলে পড়তে হবে ই এম বাইপাস দিয়ে চলাচলকারী সবযানবাহনকে। ওই কাজ শুরু হলে যানজট যাতে কম হয় এবং কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে যানজট কমানোর জন্য, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা এবং পুলিশ আধিকারিকদের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেনআরভিএনএলের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, এ দিন পুরো এলাকা ঘুরে দেখে আরভিএনএলের আধিকারিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। সে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেই ঠিক হবে, কবে থেকে ওই ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশনের ঠিক সামনে সায়েন্স সিটিমুখী যে অর্ধসমাপ্ত সার্ভিস রোড আছে, তার কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। এর জন্য আরভিএনএলকে বলা হয়েছে। পথ-বিভাজিকায় ফুট ওভারব্রিজের স্তম্ভ তৈরির জন্য মা উড়ালপুলে ওঠার রাস্তায় গাড়ি বাধা পাবে। ওই বাধার জেরে যাতে গাড়ি চলাচলের গতি হ্রাস না পায়, তার জন্য আগেই রাস্তা আটকে মহড়া দিতে চাইছে পুলিশ।
এক পুলিশকর্তা জানান, ই এম বাইপাসের দু’ধারে অনেকটা ফুটপাত রয়েছে। সেটি কেটে কমিয়ে ফেললে কয়েক ফুট বেড়ে যাবে রাস্তার অংশ। এতে গাড়ি চলাচলের বাধা অনেকটা কাটবে।
এ দিন নগরপাল চিংড়িঘাটাও পরিদর্শন করেন। চিংড়িঘাটায় একটি সাবওয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। কোথা থেকে কোথায় গিয়ে সেটি শেষ হবে, ওই কাজ হলে চিংড়িঘাটায় যান চলাচলে কোনও বাধা পড়বে কিনা, তা-ও দেখেন নগরপাল। এ ছাড়া, চিংড়িঘাটা মোড়েরউপরে মেট্রোর কাজ শুরু হলে সেখান দিয়ে উত্তরমুখী গাড়ি চলাচল বাধা পাবে। তার জন্য মেট্রোপলিটনের পরে ক্যাপ্টেন ভেড়ির বিপরীতে একটি নতুন রাস্তা তৈরি করেছে আরভিএনএল। যে রাস্তা চিংড়িঘাটা মোড় পেরিয়ে আবার ই এম বাইপাসে মিশেছে। ওই রাস্তায় সিগন্যাল ব্যবস্থাএবং আলোর ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বলা হয়েছে নগরপালের তরফে। পাশাপাশি, ওই রাস্তায় গার্ডরেল যাতে ঠিক ভাবে ব্যবহারকরা হয়, তারও নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। তবে চিংড়িঘাটা মোড়ে ওই কাজ কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)