অসমে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। উড়ল তৃণমূলের পতাকাও। —পিটিআই।
মাত্রই ১০ দিন আগে অসমের পার্বত্য পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কংগ্রেসকে ‘খোঁচা’ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতায় সংহতি মিছিলের পর সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় নাম না করে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবারেই দেখা গেল অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় উড়ছে জোড়াফুল আঁকা তৃণমূলের পতাকা!
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাহুলের ‘মহব্বত কি দুকান’ নামক বাসের সামনেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। কংগ্রেস নেতাকে সে দিকে তাকিয়ে হাত নাড়তেও দেখা যাচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে, অসমের তৃণমূল সংগঠিত ভাবে সেখানে জমায়েত করেছিল, নাকি কেউ বিক্ষিপ্ত ভাবে জোড়াফুল আঁকা পতাকা নিয়ে সেখানে পৌঁছেছিলেন।
গত ১৩ জানুয়ারি অসমের কংগ্রেসকে তীব্র খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সেখানকার কাছাড় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের ভোটে এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল। ফলপ্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল, কোনও আসন না জিতলেও কংগ্রেসের থেকে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট বেশি। অভিষেক সেই পরিসংখ্যান দেখিয়ে তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে লিখেছিলেন, ‘যারা বাংলায় উচ্চাকাঙ্খা দেখাচ্ছে, তারা নিজেদের জমি ধরে রাখতে পারছে না।’ উল্লেখ্য, অসমে কংগ্রেসই রাজ্য বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল।
সোমবার ‘সংহতি মিছিল’-এর শেষে পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম, যে রাজ্যে, যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একা লড়াই করুন। আমরা সাহায্য করব। তারা বলছে, তাদের মর্জিমতো হবে।’’ তার পর দিনই রাহুলের মিছিলে তৃণমূলের পতাকা অনেকের নজর কেড়েছে।
প্রসঙ্গত, অসমে পৃথক ভাবে অ-বিজেপি দলগুলির একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছে। তাতে ছোটবড় মিলিয়ে ১৪টি দল রয়েছে। সেখানে কংগ্রেস, তৃণমূলের পাশাপাশি রয়েছে সিপিএম, সিপিআইয়ের মতো বামদলও। মাস দেড়েক আগে তারা যৌথ কনভেনশনও করেছে। প্রসঙ্গত, রিপুন বরাকে অসম তৃণমূলের সভাপতি নিয়োগ করার পর সেই রাজ্যে তৃণমূল স্বাধীন ভাবে কর্মসূচি করে চলেছে। অসম তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডল দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। নিজের রাজ্যে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূলের সদ্যপ্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। যিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা। ঘটনাচক্রে, সুস্মিতা কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ছিলেন। তিনি যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রীও ছিলেন। ছিলেন রাহুলের ‘আস্থাভাজন’। তবে সুস্মিতার মতো অসম তৃণমূলের প্রথম সারির কোনও নেতাকে মঙ্গলবার রাহুলের যাত্রায় দুপুর পর্যন্ত দেখা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy