এক দিন বেশি খেয়ে নিচ্ছে, আর তারপর এক সপ্তাহ টানা ঘুম। সে জন্যই লালগড়ের জঙ্গলে দেখা মেলা বাঘের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। শনিবার বিকেলে শালবনির পিড়াকাটায় বনবান্ধব উত্সবে এসেছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “বনে প্রচুর খাবার আছে। বাঘের ধর্মই হচ্ছে একদিন খাবে, সাতদিন এক জায়গায় চুপচাপ ঘুমোবে। এখানে তাই হচ্ছে।” তবে বাঘমামা যে লালগড়েই রয়েছে, এ দিন তাও সাফ জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বাঘ এই মুহূর্তে লালগড়েই আছে।”
বাঘ ধরতে কম কসরত করছে না বন দফতর। জঙ্গলে খাঁচা পাতা হয়েছে, বসানো হয়েছে ক্যামেরা, ড্রোনও উড়েছে। বাঘ স্বাদ বদলেছে, এই অঙ্কে খাঁচার টোপ ছাগল থেকে বদলে সাদা শুয়োর পর্যন্ত করা হয়েছে। তাও তাকে ধরা যায়নি।
জঙ্গলে খাচ্ছে-ঘুমোচ্ছে, তাও কেন ধরা পড়ছে না বাঘবাবাজি? বনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “একদিন খেয়ে সাত দিন ঘুমোলেও বাঘটা একই জঙ্গলে থাকছে না। আমরা ওকে ধরার চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রীরও নির্দেশ রয়েছে। দু’টি ড্রোন দিয়েছেন উনি। পুলিশও সব রকম সহায়তা করছে।”
প্রায় দু’মাস হতে চলল লালগড়ের মেলখেরিয়ার জঙ্গলে ক্যামেরা-বন্দি হয়েছে বাঘের ছবি। বনকর্মীদের একাংশের মতে, লালগড়ের জঙ্গলে এই ‘নয়া হানাদার’-এর খাবারের অভাব হচ্ছে না। বনশুয়োর, হায়না, হরিণ, খরগোশ— সবই এ তল্লাটের জঙ্গলে প্রচুর রয়েছে। তবে এত করেও বাঘ ধরা না পড়ায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলোতে ভয় কাটেনি। বাঘ ধরতে গিয়ে আবার বিশেষ গাড়িতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই বনকর্মীর। মৃত ফরেস্ট গার্ড দামোদর মুর্মু এবং গাড়ির চালক অমল চক্রবর্তীর পরিবারকে অর্থ সাহায্য ও পরিবারের এক সদস্যকে
চাকরি দেওয়া হবে বলেও বনমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ওই ঘটনা বড় বেদনার। আমাদের কর্মীরা জীবন বিপন্ন করে জঙ্গল রক্ষা করেন, জঙ্গল এলাকার মানুষকে রক্ষা করেন। আমরা কর্মীদের পাশে আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy