কল্যাণীতে বাজি বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যুর পরে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করতে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। বাজি তৈরির কারখানা এবং বাজি ব্যবসার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা জানতে রিপোর্ট চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে সমস্ত থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানোর।
পুলিশ জানায়, সেই মতো শনিবার বাসুদেবপুর থানার ঘোষপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। ধরা হয় হাসান সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে। হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নাসির শেখ নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে। রাতেই তল্লাশি অভিযান চলে শিবদাসপুর থানার দেবক এলাকায়। সেখানে সাদেক আলি খান নামে এক জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪০০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। ধরা হয় সাদেককে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উপ-নগরপাল (উত্তর) গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাসুদেবপুরে তল্লাশির খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাদেক পরিকল্পনা করে, শেষ রাতে বাজি সরিয়ে দেবে। কিন্তু ওর পরিকল্পনা বিফলে গেল। নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরি, মজুত ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)