—ফাইল চিত্র।
একসময় যাঁরা সিপিএম ছেড়েছিলেন, এখন আর তাঁরা ব্রাত্য নন। দলের কর্মীদের এমনই বার্তা দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
শনিবার মেদিনীপুরে দলের এক সাধারণসভায় সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘মানুষ ভুল বুঝে হয়তো বিজেপি, তৃণমূলের দিকে গিয়েছিলেন। হয়তো ন্যায়সঙ্গত কারণেই গিয়েছিলেন। মানুষকে কখনও ঘৃণা করা যাবে না। মানুষকে বন্ধু ভাবতে হবে।’’ ছেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে ‘আত্মসমালোচনা’র পরামর্শ দিয়েছেন সূর্যকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘কে কবে কোথায় গিয়েছিল, সবটা তার দোষ না। মনে রাখতে হবে, আমার দোষও তো থাকতে পারে। বলতে হবে, এসো, এই পথে এসো। এই পথই বিকল্প দিতে পারে।’’
রাজ্যে ক্রমশ শক্তিক্ষয় হচ্ছে বামেদের। উল্টো দিকে প্রভাব বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। সাম্প্রতিক অতীতে বামেদের কর্মসূচিতে ভিড় দেখা গেলেও ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়ছে না। লোকসভা ভোটের আগে অন্য দলগুলির মতো ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে বামেরাও। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সদস্যদের সূর্যকান্তের পরামর্শ, ‘‘ব্রিগেড করে ব্রিগেডে যাবেন। বুথে মানুষকে সংগঠিত করতে হবে। দুটো ব্রিগেডে (তৃণমূল এবং বিজেপি) যে লোক হবে, লালঝান্ডার ব্রিগেড তার চাইতেও বড় ব্রিগেড হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বুথে যদি লালঝান্ডা তুলতে না পারেন তা হলে ওই ব্রিগেডের মূল্য নেই। তাই বারবার বলছি, এলাকায় ব্রিগেড করুন।’’
লোকসভা ভোটের আগে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলের পর সেই প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে বামেদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সমদূরত্বের লাইন কখনও ছিল না। বিজেপি আর কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বের লাইন মানার মানে হল বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের রাস্তা করে দেওয়া। বা তার সঙ্গে আঁতাঁতে যুক্ত তৃণমূলকে এখানে শক্তিশালী করা। এটা হতে দিতে পারি না।’’ তবে কি লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের জবাব, ‘‘কিছু হলে যখন হবে তখন জানতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy