নারদের কাঁচা ফুটেজ পরীক্ষা করে সিবিআই তদন্তকারীদের অনুমান, টাকা নেওয়ার মামলা ছাড়াও অন্যবিধ দুর্নীতি নিয়েও মামলা হওয়া সম্ভব।
সিবিআই সূত্রের দাবি, ম্যাথুকে ব্যবসা সংক্রান্ত নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৪-র ভোটের আগে নেতা-মন্ত্রীরা টাকা নিয়েছিলেন। এক সাংসদ কলকাতা লাগোয়া একটি ফুডপার্ক তৈরিতে ‘সরকারি’ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন। এক জন টাকা নিয়েছেন হলদিয়ার নির্মাণ ব্যবসায় সাহায্যের কথা বলে। ভোটের পরেই ম্যাথুকে যোগাযোগ করা জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে যে কথোপকথন রেকর্ড হয়েছে, সেখানে সরকারি ও রাজনৈতিক স্তরে দুর্নীতির বিষয়টিও উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪-র ভোটে কোন কোন ব্যবসায়ী কত টাকা দিয়েছেন, কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে, কোন এলাকায় কী ভাবে ভোট কেনা হচ্ছে, তা-ও আলোচনায় এসেছিল। বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার টাকার প্রসঙ্গও রয়েছে সেখানে।
শনিবার সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল ‘এডিটেড ফুটেজ’ । সেই রাতেই ম্যাথুর দিল্লির বাড়ি থেকে কাঁচা ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, সেই কাঁচা ফুটেজে দেখা গিয়েছে এক সাংসদ সরাসরি টাকা না নিয়ে এক পুলিশকর্তার কথা উল্লেখ করেন। পরে ম্যাথু ওই কর্তার হাতে টাকা তুলে দেন। টাকা গুনে নেওয়ার সময় ওই পুলিশকর্তাও বলেন, ‘‘দাদার বিষয়গুলি আমিই দেখভাল করি।’’ তদন্তকারীদের কথায়, কিছু সাংসদ ও মন্ত্রী সরাসরি হাতে টাকা নেননি। অথচ প্রাথমিক তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে, ওই সাংসদ-মন্ত্রীদের সহযোগীরা টাকা নিয়েছেন।
সিবিআইয়ের দাবি, এ সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতি সংক্রান্ত অন্যান্য মামলাও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy