বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ পরিবহণ দফতর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ (ভিএলটিডি) বসানো নিয়েও শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার আলিপুরে নতুন এই প্রযুক্তি সংযোজন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সোমবার সকালেই বিরোধী দলনেতা পরপর তিনটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, ভিএলটিডি বসানো নিয়েও কাটমানি খাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। যেখানে একটি গাড়িতে ওই প্রযুক্তি লাগাতে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে রাজ্য পরিবহণ দফতর প্রতিটি গাড়ির জন্য ১২ হাজার টাকা খরচ হবে বলে স্থির করেছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে রাজ্যের শাসকদল ‘কাটমানি খাবে’ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে শুভেন্দুর অভিযোগ শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।
তবে বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ পরিবহণ দফতর। পরিবহণ দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, দফতর কোনও নির্দিষ্ট খরচের কথা উল্লেখ করেনি। কারও ওপর খরচের ভার চাপিয়েও দেননি তাঁরা। ভিএলটিডি বসাতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে তা বাজার দরেই ঠিক হবে। এখন পর্যন্ত গাড়িতে ভিএলটিডি লাগাতে ১২টি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। আমরা আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক সংস্থাকে এই কাজে অংশগ্রহণ করতে আবেদন জানাব। যাতে কম খরচে মালিকরা এই প্রযুক্তি গাড়িতে লাগাতে পারেন। আর অভিযোগের জবাবে পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল বলেছেন, ‘‘বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে পরিবহণ পরিষেবা পরিচালনা করতে যা যা প্রয়োজন পরিবহণ দফতর ঠিক সেভাবেই কাজ করছে। আর কে কী অভিযোগ করল তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। কারণ আমরা জানি আমরা সঠিক কাজই করছি, যা আগামী দিনে মানুষের কল্যাণে কাজে আসবে। বিরোধিতা করার জন্যই যদি বিরোধিতা করা হয়, তাহলে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীই তো ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলছেন। আর বাংলার ওদের নেতারাই সেই ডিজিটাইজেশনের বিরোধিতা করছেন। এমন দ্বিচারিতা নিয়েও তো প্রশ্ন উঠতে পারে।’’
এ প্রসঙ্গে আবার বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির মত ভিন্ন। জয়েন্ট কাউন্সিলর অব লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত (শঙ্কর) ঘোষ বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের উদ্যোগ খতিয়ে না দেখে কোনও মন্তব্য করব না।’’ আবার সিটি সার্বাবান বাস সার্ভিসেসের নেতা টিটু সাহা বলেছেন, ‘‘যে সংস্থাদের গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানোর বরাত দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা কোনও মতামত দিতে পারব। চলতি সপ্তাহে আমরা আলোচনায় বসছি।’’ তবে বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেছেন, ‘‘ভিএলটিডি লাগানোর যে খরচ আমাদের করতে হবে, তা সত্যিই বেশি। এ ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতর সেই খরচ কমানোর ব্যবস্থা করুক। কারণ আমরাও খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই প্রযুক্তি বসাতে কত পরিমাণ খরচ হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy