সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। ফাইল চিত্র ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিককে ১৪ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মানিককে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর বিকেলের দিকে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়।
শুনানি চলাকালীন আদালতে মানিককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিলেন ইডির আইনজীবী। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, মানিকের ব্যাঙ্কের একাধিক নথি খতিয়ে দেখতে হবে। মানিকের সম্পত্তি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করতে চায় ইডি। মানিককে জেরা করে এই দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কোনও বড় মাথা জড়িত আছে কি না, তা-ও ইডি খুঁজে বার করতে চাইছে। আর তাই মানিককে জেল হেফাজতে রাখা দরকার বলে ইডির আইনজীবী যুক্তি দেন।
পাশাপাশি, ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিক জামিনের আর্জি জানাননি বলেও সূত্রের খবর। তদন্তে অসহযোগিতার যে অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল তা ঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন মানিকের আইনজীবী। মানিকের আইনজীবী জানান, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে যে মানিক সহযোগিতা করেছেন কি না।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে ঢোকার সময় সাধারণ জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। তাঁকে ঘিরে ‘চোর, চোর’ রব ওঠে আদালত চত্বর জুড়ে। হাতে জুতোও তুলে নেয় উন্মত্ত জনতা।
সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মানিককে ডেকে পাঠান ইডি আধিকারিকরা। ইডির তরফে মানিককে যে সময়ে তলব করা হয়েছিল, তার বেশ কিছু সময় পরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। এরপর রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ চলে। মানিককে রাত থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পর বয়ানে অসঙ্গতি এবং জেরায় অসহযোগিতার অভিযোগে সোমবার রাতেই গ্রেফতার হন পলাশিপাড়ার বিধায়ক।
নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে মানিক যে নথি জমা দিয়েছিলেন, সেখানেও একাধিক গরমিল রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই সূত্র ধরেই চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ।
এর আগে হাই কোর্ট এই মামলায় তদন্তভার দিয়েছিল সিবিআইকে। টেট দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মানিক। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত মানিককে কোনও ভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে, টেট মামলায় সিবিআই তদন্ত করার যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, তাতেও স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। এই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই সোমবার রাতে মানিককে গ্রেফতার করে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy