Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

মায়ের হাতে বিক্রি হয়ে যাওয়া মেয়ে পালাল পাচারকারীদের হাত থেকে

বিপদ বুঝেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিল ছোট মেয়েটি। বুদ্ধি করে নিজেকে এবং আর এক নাবালিকাকে সে পাচার হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। বর্ধমানের মেমারি থানার একটি গ্রামে বাসিন্দা ওই মেয়েটিরই করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করেছে তার মাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩৬
Share: Save:

বিপদ বুঝেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিল ছোট মেয়েটি। বুদ্ধি করে নিজেকে এবং আর এক নাবালিকাকে সে পাচার হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। বর্ধমানের মেমারি থানার একটি গ্রামে বাসিন্দা ওই মেয়েটিরই করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করেছে তার মাকে। মা তাকে উত্তরপ্রদেশে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন বলে মেয়েটি মেমারি থানা পুলিশকে জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ থেকে দূরপাল্লার একটি ট্রেনে উঠেছিল বছর তেরোর মেয়েটি। সঙ্গে ছিল তারই সমবয়সী একটি মেয়ে ও দু’টি লোক। কিন্তু, ট্রেন বিধাননগর স্টেশনে পৌঁছনোর পরেই মেয়েটি কাঁদতে শুরু করে। পুলিশকে মেয়েটি জানিয়েছে, তাকে কাঁদতে দেখে ওই লোক দু’টি জানায়, তাকে তার মা ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। তাকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে রাখবে এবং প্রতি মাসে তার বাড়িতে টাকা পাঠাবে। বিপদ বুঝতে পেরে মেয়েটি বর্ধমান স্টেশনে নেমে পড়ার পরিকল্পনা করে। সেখানেই তার মাসির বাড়ি। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার সময় মেয়েটি বাথরুমে যাবে বলে জানায়। অন্য মেয়েটিও তার সঙ্গে যায়। ট্রেন স্টেশনে ঢুকলেই প্ল্যাটফর্মে লাফিয়ে নেমে পড়ে দু’জনে। এর পরে আলাদা হয়ে যায় মেয়ে দু’টি।

মেমারির নাবালিকাটি মাসির বাড়ি গিয়ে সব ঘটনা জানায়। বেলা ১১টা নাগাদ মেসোর সঙ্গে বর্ধমান থানায় এসে অভিযোগ জানায় সে। এর পরে পুলিশ মেয়েটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মেমারি থানা। জেরায় মেয়েকে বিক্রির কথা স্বীকার করেননি তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। অনটনে দিন কাটছিল মা-মেয়ের।

অন্য বিষয়গুলি:

teenager escape human trafficker
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE